২০১৮ সালে ওড়িশায় (Odisha) সম্বলপুর (Sambalpur) জেলার এক থানার ভেতর এক মহিলাকে পুলিশ (Police) আধিকারিকের শারীরিক (women assaulted) নিগ্রহ করার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ঘটনা বলে ভুয়ো দাবি সহ ছড়ানো হচ্ছে।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ২৯ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে থানার ভেতরে খাঁকি পোশাক পরা এক পুলিশ আধিকারিককে এক মহিলার হাত ধরে মুচড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মহিলা পুলিশের উপস্থিতিতেই এই ঘটনাটি ঘটে। ভিডিওটি শেয়ার করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা কর পশ্চিবঙ্গ পুলিশের সমালোচনা করা হয়েছে।
ভিডিওটিতে বাংলা ও ইংরেজিতে লেখা হয়েছে, "দিদির পুলিশের আচরণ গরীবের প্রতি" (ইংরেজিতে: "West Bengal Police behaviour Under Mamata Govt")
ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "গরীব নিপীড়িত বঞ্চিত শোষিত অবহেলিত মানুষের প্রতি দিদির পুলিশের আচরণ দেখুন। তাই ভোট এবার রাষ্ট্রবাদী দলে।"
তথ্য যাচাই
বুম ভিডিওটির মূল ফ্রেমগুলি নিয়ে গুগলে রিভার্স সার্চ করে ৬ মার্চ, ২০১৯ কলিঙ্গ টিভিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ভিডিওর একই দৃশ্যের ছবি খুঁজে পায়।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘটনাটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের। ওড়িশার সম্বলপুর জেলার রেঙ্গালি থানার অতিরিক্ত সাব-ইনসপেক্টর দ্রোনাচার্য শাহুকে সাসপেন্ড করা হয় থানায় ডেকে ওই মহিলাকে নিগ্রহ করার জন্য।
আরেক গণমাধ্যম 'সংবাদ'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী গনেশ পুজোর ভাসানের সময় বস্তিবাসী ওই মহিলাকে বাড়িতে পৌছে দেবার নাম করে রেঙালি পুলিশ থানায় ধরে আনে। ওই মহিলা পুলিশেকে ধরে আনার কারণ জিঞ্জেস করলে শাহু তাঁকে নিগ্রহ করেন।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে থানার ভেতরে ঘটনা ঘটনার সময় ভিডিওটি কেউ মোবাইলে তুলে রাখে এবং পরে তা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তারপর ভিডিওটি রাজ্যের বিভিন্ন সংবাদ চ্যানেলে সম্প্রচারিত হলে প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে। ওই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয় তাঁর বিরুদ্ধে।
আরেক সংবাদ ওয়েবাসাইট ওড়িশা বাইটসে পড়া যাবে একই ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন। নিউজ ১৮ ওড়িয়ার রিপোর্টে দেখা যাবে ভাইরাল ভিডিওটি।