বাংলাদেশের (Bangladesh) এক হিন্দু (Hindu) পরিবার সম্প্রতি ইসলাম (Islam) ধর্ম গ্রহণ করে। সেই ঘটনার ছবি সোশাল মিডিয়ায় এই মিথ্যে দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে যে, ওই ছবিতে ভারতের রাজস্থানের (Rajasthan) এক পরিবারকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হতে দেখা যাচ্ছে ওই ছবিতে।
বুম দেখে ছবিটি বাংলাদেশের। এক হিন্দু পরিবারের পাঁচ সদস্য ডিসেম্বর ২০২১'এ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সময় ছবিটি তোলা হয়।
হিন্দিতে লেখা ক্যাপশনে বলা হয়, "আলহামাদুলিল্লাহ! রাজস্থানের এক পরিবারের পাঁচ সদস্য আজ হিন্দু ধর্মকে ধিক্কার জানিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। আল্লাহ তাঁদের পরিবারকে আশির্বাদ করুন।"
(হিন্দিতে লেখা আসল ক্যাপশন: Alhamdulillah.!! राजस्थान में आज एक ही परिवार के पाँच हिन्दू लोगो ने हिन्दू धर्म छोड कर इस्लाम धर्म अपना लिया ,,अल्लाह इनके परिवार में बरकत अता फरमां.!!)
পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
টুইটটির আর্কাইভ সংস্করণ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন: ২০১৯ সালে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সহায়কের হাতে সাংবাদিক নিগ্রহ সাম্প্রতিক বলে ছড়াল
তথ্য যাচাই
ভাইরাল ছবিটির নীচের ডান কোণে আমরা আলোকচিত্রীর জলছাপ দেখতে পাই। তাতে লেখা ছিল, "হাসান আইওব বিচিত্র বাংলা বিবি"। এই সূত্র ধরে, আমরা ওই কি-ওয়ার্ড দিয়ে ইউটিউব'এ সার্চ করি। তার ফলে, বাংলাদেশের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ৭ ডিসেম্বর, ২০২১ আপলোড করা একটি ভিডিও দেখতে পাই আমরা। ছবিটিতে যে ব্যক্তিদের দেখা যাচ্ছে, ভিডিওটিতেও তাঁদেরই দেখা যাচ্ছে। সেটির ক্যাপশনে বলা হয়, "একই পরিবারের পাঁচ সদস্য এক সঙ্গে হিন্দু ধর্ম ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। হাসান আইওব।"
তাছাড়া আমরা হাসান আইওব'র ফেসবুক পেজ ও তাঁর প্রোফাইলের লিঙ্ক দেখতে পাই। দেখা যায়, হাসান আইওব একই ছবি ৮ ডিসেম্বর ২০২১ পোস্ট করেন। সেটির বাংলা ক্যাপশনে বলা হয়, "নরসিংদীর মাধবদীতে একি পরিবারের ৫ জনের হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ। বিস্তারিত ইউটিউব চ্যানেলে।"
ইউটিউব'এর ভিডিওটি নীচে দেখা যাবে। ওই পরিবারের সদস্যদের বলতে শোনা যায় যে, কোনও চাপের কারণে নয়, তাঁরা স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
'দ্য নরসিংদী টাইমস' ও 'আই নিউজ বিডি'র মতো বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলিতে এই ঘটনার খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার মাধবদীতে ঘটনাটি ঘটে।
এছাড়া, বুম-বাংলাদেশ সাংবাদিক হাসান আইওব-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিশ্চিত করে জানান, তিনিই বাংলাদেশে ছবিটি তোলেন, ভারতের ঘটনা নয়।
(অতিরিক্ত রিপোর্টিং: আমির শাকির, বুম বাংলাদেশ)
আরও পড়ুন: বাইকুল্লা চিড়িয়াখানার নাম বদল পিরের নামে? না, বললেন মুম্বইয়ের মেয়র