এবিপি নিউজের (ABP News) ২০১৮ সালের একটি প্রতিবেদন থেকে নেওয়া একটি ক্লিপে ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party) এক নেতাকে বিশেষ ভাবে সক্ষম এক ব্যক্তিকে সমাজবাদী পার্টিকে (Samajwadi Party) সমর্থন করার জন্য নিগ্রহ করতে দেখা যায়। এই ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় সাম্প্রতিক ঘটনা বলে শেয়ার করা হয়েছে।
বুম দেখে ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে ২০১৮ সালে ঘটেছিল। এখন ভিডিওটি অপ্রাসঙ্গিক ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে।
সমাজবাদী পার্টির জাতীয় মুখপাত্র আইপি সিং ভিডিওটি হিন্দিতে লেখা ক্যাপশনের সঙ্গে পোস্ট করেছেন। ওই ক্যাপশনের বাংলা অনুবাদ, "উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার থেকেও খারাপ, সপার নাম নেওয়াতে বিজেপি নেতা এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে লাঠি দিয়ে মারধোর করলেন। যোগী মানে গুন্ডারাজ, যোগী মানে জঙ্গলরাজ।"
(হিন্দিতে লেখা মূল ক্যাপশন: हालात आपातकाल से भी बदतर हो गए हैं उत्तर प्रदेश में, सपा का नाम लेने पर भाजपा नेता ने विकलांग व्यक्ति को डंडे से पीटा। योगी का मतलब गुंडाराज योगी का मतलब जंगलराज)
টুইটটির আর্কাইভ দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
ভিডিওটি ফেসবুকেও একই ক্যাপশনের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে।
এখানে ক্লিক করলে এ রকম একটি পোস্ট দেখতে পাবেন।
আরও পড়ুন: না, মার্ক জাকারবার্গ বলেননি ফেসবুকে দৈনিক ২০০ কোটিবার 'জয় শ্রীরাম' লেখা হয়
উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের ঘটনা
বুম ইউটিউবে কিওয়ার্ড সার্চ করে এবং দেখতে পায় যে, ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর এবিপি নিউজের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে এই একই প্রতিবেদন আপলোড করা হয়েছিল। ভিডিওটির শিরোনামে লেখা হয়, "উত্তরপ্রদেশ: বিজেপি নেতার নিন্দনীয় আচরণ, এক প্রতিবন্ধীর মুখের ভিতর লাঠি ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।"
ভিডিওটির বর্ণনা অংশে লেখা হয়েছে, "ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা মহম্মদ মিয়াঁ এক প্রতিবন্ধীর মুখে লাঠি ঢুকিয়ে নিগ্রহ করেন এবং তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই ব্যক্তি অখিলেশ যাদবকে ভোট দেবেন বলাতে ওই নেতা তাঁকে গালাগাল করেন এবং তাঁকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। ভিডিওটি এখন ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি এখানে দেখতে পাবেন।"
২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত এনডিটিভির একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ কর হয় যে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের সম্ভলে ঘটেছিল। ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ওই ব্যক্তি বিজেপির বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয় যে, সংশ্লিষ্ট বিজেপি নেতা দাবি করেন, যে ব্যক্তিকে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে তিনি মদ্যপ ছিলেন। তিনি পুরো ঘটনাটিকে বিজেপিকে "কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র" বলে আখ্যা দেন।
২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, সম্ভল পুলিশ মিয়াঁর বিরুদ্ধে কেস ফাইল করেছে।
সম্ভল পুলিশের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে আইপি সিং'র টুইটের উত্তরে করা টুইটটি বুম দেখতে পায়। ওই টুইটে জানানো হয় যে, ভিডিওটি ২০১৮ সালের।
আরও পড়ুন: ট্র্যাভেল ব্যাগের ভেতরে ভরে শিশু অপহরণের ভিডিও আসলে নাট্যরূপ