সোশাল মিডিয়ায় চকোলেট পোড়ানোর একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে চকোলেটে মোম রয়েছে তাই জ্বলছে এটি। ভাইরাল হওয়া ৩ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে এক গৃহিনীকে দেশলাই কাঠি দিয়ে ক্যাডবেরি সংস্থার একটি ডেয়ারি মিল্ক চকোলেট মোড়ক থেকে খুলে জ্বালাতে দেখা যায়। তার পর সেটি জ্বলতে থাকলে তিনি বলেন মোমের মতো গলে গলে পড়ছে। আড়ালে থাকা এক মহিলা তখন বলেন এগুলি স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ঘটনার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করার সময় অবশ্য ওই গৃহিনী বলেন ইউটিউবে ভিডিও দেখে তিনি এই 'এক্সপেরিমেন্ট' করছেন।
পোস্টটিতে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "কিছুক্ষন আগে এই ভিডিও টা হোয়াটস্যাপ পেলাম।"
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে। নীচে ভিডিওটি দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: মাছে মরফিন ভাইরাস? আবার ফিরলো পুরনো গুজব
তথ্য যাচাই
চকোলেট বার্নিং কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করলে ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখতে পাওয়া যায়. ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ওয়াশিংটন পোস্টের একটি ভিডিও বুমের নজরে আসে। সে সময় রাশিয়াতে চকোলেট পোড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ভিডিওটির শিরোনাম, ''চকোলেট জ্বলা, বিজ্ঞান না গুজব।'' (মূল ইংরেজিতে: Burning chocolate, science or hoax?)
ওয়াশিংটন পোস্টের ওই ভিডিওটিতে কথা বলছেন লিয়াংলি লুসি লু। যিনি কলেজ পার্কের ম্যারিল্যান্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের খাদ্য রসায়ন বিভাগের অধ্যাপিকা এবং খাদ্য বিশারদ। তিনি ভিডিওটিতে চকোলেটের দহনের পরীক্ষাটি করে দেখান। লিয়াংলি লুসি লু বলেন ''চকোলেটের মূল উপাদান ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, অল্প পরিমান প্রোটিন। ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, পরিমান প্রোটিন দাহ্য। কুকিজ, মাখন প্রভৃতি অন্যান্য অনেক খাবারও দাহ্য। দহ্য হলেই সংশ্লিষ্ট খাদ্য স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক নয়।''
বস্তুত কৃত্রিম মোম বা প্যারাফিনও হাইড্রোকার্বনে তৈরি।