চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফসদ্য নিয়োজিত চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) ও প্রাক্তন সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াতের নামে লেখা একটি ভাইরাল চিঠির সত্যতা অস্বীকার করেছে ভারতীয় সেনা। চিঠির শুরুটা বেশ সাধারণ। তাতে ভারতের সেনা বাহিনীর সদস্যদের নতুন বছরের অভিন্দন জানানো হয়েছে। কিন্তু পরের ভাগে বলা হয়েছে যে, ফেব্রুয়ারি ২০১৯-এ, যখন পুলওয়ামা ও বালাকোটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, তখন নওশেরায় দেশের সীমান্ত রক্ষা করার ক্ষেত্রে বায়ু সেনার তুলনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা বেশি উল্লেখযোগ্য ছিল। ওই চিঠিতে আরও বলা হয় যে, সিডিএস (প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন বিভাগের প্রধান) হিসেবে উনি নৌসেনা ও বায়ুসেনাকে, সেনাবাহিনীর মত করেই পরিচালনা করবেন।
চিঠিটিতে কোনও তারিখ নেই। এবং তাতে সেনা প্রধানের সিল ও রাওয়াতের স্বাক্ষর রয়েছে।
বুমের হেল্পলাইনে (৭৭০০৯০৬১১১) চিঠিটি আসে।
টুইটার ব্যবহারকারীরাও চিঠিটিকে ভুয়ো বলে চিহ্নিত করেন। তাঁরা পাকিস্তানের সোশাল মিডিয়া ও সে দেশের সেনাবাহিনীকেও ওই চিঠি প্রচারের জন্য দায়ী করেন।
Pakistani @OfficialDGISPR wrote this letter and said it is written by Indian Army CDS Bipin Rawat.
— Farrago Abdullah (@abdullah_0mar) December 30, 2019
Becuase of Pakistani English, one can easily find out it is fake 😂🤣 pic.twitter.com/p4FVGybnxb
A laughable attempt by @OfficialDGISPR to circulate a fake letter, supposedly written by Gen Bipin Rawat, is exposed...not by Indians, but by Pakistanis themselves. Please read the third paragraph again & again...and again.
— Major Gaurav Arya (Retd) (@majorgauravarya) December 30, 2019
Pakistan, why this Kolaveri Di against English grammar? pic.twitter.com/3TfMiQnlUU
ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে টুইটারের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, চিঠিটি ভুয়ো। সেই সঙ্গে টুইটার ব্যবহারকারীদের এই মর্মে সতর্ক করে দেওয়া হয় যে, তাঁরা যেন ওই ধরনের খবর বিশ্বাস না করেন।
Guard against FAKE NEWS & DISINFORMATION
— ADG PI - INDIAN ARMY (@adgpi) December 31, 2019
Please guard against vicious #disinformation being spread by some on social media. #IndianArmy #NationFirst pic.twitter.com/fchgfFRfJh
রাওয়াত ১ জানুয়ারি ভারতের প্রথম সিডিএস হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। প্রতিরক্ষাবাহিনীর তিন বিভাগের শীর্ষে থাকবেন সিডিএস—সমপদাধিকারীদের মধ্যে অগ্রগণ্য হবেন উনি। প্রতিরক্ষাবাহিনীর সামগ্রিক বিষয়গুলি সম্পর্কে সিডিএস-ই কেন্দ্রীয় সরকারকে পরামর্শ দেবেন। আর সেনা, নৌসেনা আর বায়ুসেনার প্রধানরা নিজ নিজ বিভাগ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারকে ওয়াকিবহাল রাখবেন। সদ্য তৈরি ডিপার্টমেন্ট অফ মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স-এর (প্রতিরক্ষা বিষয়ক দপ্তর) মাথায় থাকবেন সিডিএস এবং চিফ অফ স্টাফ কমিশনের স্থায়ী চেয়ারম্যানও হবেন উনি। মনে করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন বিভাগের মধ্যে আরও বেশি সমন্বয় সাধন করবে।