পুলিশের এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে মারার একটি ছবি ফিরে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ছাত্রদের মারার ছবি এটি।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, দু'জন পুলিশ একটি লোককে এক লোহার গেটের গায়ে তাকে ঠেলে ধরে লাঠিপেটা করছে। লোকটি কান্নাকfটি করে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কাকুতি-মিনতি করছে। কিন্তু পুলিশরা তাকে মেরেই চলেছে। মালয়ালি ভাষায় লেখা ক্যাপশনে বলা হয়, "দিল্লি থেকে আরও একটি ভয়ঙ্কর দৃশ্য। ছাত্রদের প্রতি দিল্লি পুলিশের নৃশংসতা এমনই।" মালয়ালি ভাষায় লেখা হয়: മറ്റൊരു ഞെട്ടിക്കുന്ന ഭികര ദൃശ്യം. ഡൽഹിപോലിസ് വിദ്യാർത്ഥികളോട് കാണിക്കുന്ന ക്രൂരത.
সতর্কতা: নীচের বিষয়বস্তু বিচলিত করার মতো
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য, জামিয়া মিলিয়া ও আলিগড় মুসলিম ইউনিভারসিটির ছাত্র-ছাত্রীরা পুলিশের রোষের মুখে পড়ে। দুই ইউনিভারসিটির পড়ুয়াদের ওপর পুলিশি অত্যাচারের ছবি ইন্টারনেটে ব্যাপক হারে ছড়াতে থাকে। ওই ইউনিভারসিটিগুলির ওপর পুলিশের বলপ্রয়োগের বিরুদ্ধে অন্যান্য নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও প্রতিবাদ শুরু হয়।
একই বক্তব্য সমেত ভিডিওটি ফেসবুক ও টুইটারেও ভাইরাল হয়েছে।
മറ്റൊരു ഞെട്ടിക്കുന്ന ഭികര ദൃശ്യം. ഡൽഹിപോലിസ് വിദ്യാർത്ഥികളോട് കാണിക്കുന്ന ക്രൂരത - 😪😪😪 pic.twitter.com/cn8jdhkDav
— ഞാൻ, സഖാ:പുതുക്കാടൻ (@LEIONPUTHUKKADE) December 16, 2019
তথ্য যাচাই
বুম দেখে ভিডিওটি পাঁচ বছরের পুরনো এবং সিএএ-র বিরুদ্ধে ভারত জুড়ে যে প্রতিবাদ চলছে তার সঙ্গে ভিডিওটির কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা ভিডিওটির কয়েকটি প্রধান ফ্রেম বেছে নিয়ে, রিভার্স ইমেজ সার্চ করি। দেখা যায়, জানুয়ারি ২০১৪'য় 'ডেইলিমেল' ওই একই ভিডিও আপলোড করেছিল। লেখাটির শিরোনাম ছিল, 'পুলিশের মার আর পার্স চুরি: একটি লোককে রেলিংয়ে ফেলে বর্বর মারের দৃশ্য ক্যামেরায় বন্দি'। রিপোর্টটি অনুযায়ী, এক পকেটমার হাতেনাতে ধরা পড়ার পর পুলিশ যখন তাকে মারধোর করে, তখন ভিডিওটি তোলা হয়। আরও বলা হয়, ওই অত্যাচারের সঙ্গে যুক্ত তিনজন পুলিশকে পরে সনাক্ত করে সাসপেন্ড করা হয়।
সম্পূর্ণ লেখাটি পড়ুন এখানে।
ভিডিওটি আম আদমি পার্টির ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করা হয়
বুম দেখে আম আদমি পার্টি তাদের ফেসবুক পেজে অনেক আগেই ভিডিওটির পূর্ণাঙ্গ সংস্করণটি পোস্ট করে ছিল। ভিডিওটি দিল্লির লাল কেল্লার কাছে তোলা হয়।
'টাইমস অফ ইন্ডিয়া'র রিপোর্ট অনুযায়ী, মূল ভিডিওটি ২০ মিনিটের।কপিল কুমার নামে এক ব্যক্তি সেটি তোলেন।
সম্পূর্ণ লেখাটি পড়া যাবে এখানে।