স্ট্রেচারে শায়িত, প্রবল শ্বাস কষ্টে ভুগছেন এমন এক ব্যক্তির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দাবি করা হয়েছে তিনি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত এবং ভারতের এক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। ভিডিওটি দু'টি ভিন্ন দাবি সমেত ভাইরাল হয়েছে।
একটি ক্যাপশনে বলা হয়, "করোনাভাইরাস রোগীকে বেনারসে দেখা যায়", আর অন্যটিতে দাবি করা হয়, "রোগীটিকে ম্যাঙ্গালোরের ওয়েনলক হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে।"
বুম দেখে, ভাইরাল ক্লিপটি ভারতের নয় এবং তাতে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি করোনা-আক্রান্ত নন। তাছাড়া, ওয়েনলক হাসপাতাল জানায়, ভিডিওটি ওই হাসপাতালের নয় এবং যাঁরা সেটি ছড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ক্লিপটি ফেসবুকে শেয়ার করা হয় একটি হিন্দি ক্যাপশন সহ। সেখানে বলা হয়, "বেনারসের বিএইচইউ-তে করোনাভাইরাস। ভিডিওটি দেখুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন ঘরে থাকা কতটা জরুরি। নিজের ও নিজের পরিবারের দেখাশোনা করুন এবং দেশের প্রতি কর্তব্য্ পালন করুন।"
(হিন্দিতে মূল পোস্ট: बीएचयू बनारस में कोरोना वायरस का मरीज | इस वीडियो को देखकर आप समझिये की आपका घर में रहना कितना जरुरी है | आप अपना और अपने परिवार का ख्याल रखिये और देश के प्रति अपनी जिम्मेदारी को निभाइये)
আরও পড়ুন: না, এটি প্রয়াত পাকিস্তানি চিকিৎসক ওসামা রিয়াজের শেষ ভিডিও বার্তা নয়
https://bangla.boomlive.in/fake-news/no-this-is-not-the-last-message-of-deceased-pakistani-doctor-osama-riaz-7467
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে সাদা টি-শার্ট ও গোলাপি প্যান্ট-পরা এক ব্যক্তি সম্ভবত একটি স্ট্রেচারে শুয়ে আছেন। নিশ্বাস নিতে খুবই কষ্ট হচ্ছে তাঁর। দেখে মনে হচ্ছে দম বন্ধ হয়ে আসছে। মাস্কও লাগান আছে তাঁর মুখে। পেছনে অস্পষ্ট কথাবর্তা শোনা যাচ্ছে।তথ্য যাচাই
ভাইরাল ভিডিওটির প্রধান ফ্রেমগুলি দিয়ে বুম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে। তার ফলে সামনে আসে মার্চ ১৮-র একটি পোস্ট। ইকুইডোরের একটি ফেসবুক পেজে সেটি শেয়ার করা হয়েছিল। ফেসবুক পেজটির নাম 'সি৬ টেলিভিশন বাবাহোয়েও'।
পোস্টটির সঙ্গে দেওয়া ক্যাপশনে বলা হয়, "#অ্যাটেনশন! ভিডিওতে যে অল্পবয়সী মহিলাকে দেখা যাচ্ছে, তাঁর কেসটা 'রেসপিরেটারি উইথড্রল লক্ষণ' সঙ্গে মিলে যায়। করোনার কোন লক্ষণ তাতে নেই।"
ওই তথ্যটির ওপর ভিত্তি করে, বুম কয়েকটি কি-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে, যদি ইকুইডর থেকে ওই সংক্রান্ত আরও কোনও পোসেটর সন্ধান পাওয়া যায়। তার ফলে আমরা ১৮ মার্চ তারিখেরই একটা টুইটার সূত্র পাই যাতে ওই ভিডিওটি ব্যবহার করা হয়েছিল। পোস্টটি করেন টুইটার ব্যবহারকারী আমান্ডা (@amandaasubiar)। আমান্ডার টুইটে বলা হয়, ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি 'অ্যাকিউট রেসপিরেটারি ডিস্ট্রেস সিন্ড্রোম' নামের এক অসুখে ভুগছেন। ইকুইডরের লাস রিয়স শহরের ভ্যালেনসিয়ায় তোলা হয় ভিডিওটি।
ইতিমধ্যে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর, ওয়েনলক জেলা হাসপাতাল একটি বিবৃতে বলে যে, রোগীটি ওই হাসপাতালের নয়।
হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিনটেডেন্ট ডঃ রাজেশ্বরী দেবী 'টাইমস অফ ইন্ডিয়া'-কে জানান যে, যারা ওই ভিডিও ছড়াচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে ম্যাঙ্গালুরু শহরের পুলিশ কমিশনার পি এস হর্ষ টুইট করে বলেন, "কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে"।
Lot of rumour mongering is going on in connection with COVID 19.. in one such case allegedly misinformation is being spread about wenlock hospital .. Based on complaint of medical authorities a case would be registered and strict legal action will follow..Desist from rumours
— Harsha IPS CP Mangaluru City (@compolmlr) March 23, 2020