Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

ভুয়ো বার্তায় দাবি জাভেদ আখতার নাকি রিচার্ড ডকিন্স পুরস্কার পাননি

বুম জাভেদ আখতারকে প্রেরিত ই-মেল পড়ে দেখেছে তাঁকে যথার্থই ওই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

By - Archis Chowdhury | 16 Jun 2020 1:30 PM GMT

ভাইরাল হওয়া ভুয়ো হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় দাবি করা হচ্ছে, প্রবীণ গীতিকার জাভেদ আখতার মোটেই ২০২০ সালের রিচার্ড ডকিন্স পুরস্কার পাননি, যা গণমাধ্যমে ঘোষণা করা হচ্ছে তা আদতে জাভেদ আখতারকে পাঠানে মনোনয়ন তালিকার ইমেলের ভিত্তিতে।

বুম জাভেদের স্ত্রী শাবানা আজমির সঙ্গে এই ব্যাপারে যোগাযোগ করলে তিনি ওই ই-মেলের একটি প্রতিলিপি আমাদের দেখান, যেটি পুরস্কারদাতা সংস্থা সেন্টার ফর ইনকোয়ারি-র মুখ্য প্রশাসনিক আধিকারিক রবিন ব্লুমনার এবং স্বয়ং রিচার্ড ডকিন্সের পাঠানো। উভয়েই তাঁদের যথাযথ ই-মেল ঠিকানা থেকেই জাভেদকে পুরস্কার দেবার কথা ঘোষণা করেছেন।

অবশেষে রিচার্ড ডকিন্স নিজেই ঘোষণা করেছেন—"জাভেদ আখতারই চলতি বছরের পুরস্কারের প্রাপক এবং এতে আমার চেয়ে খুশি আর কেউ নয় l"

রিচার্ড ডকিন্স পুরস্কারটি আমেরিকার নাস্তিকদের সংগঠন এথেইস্ট অ্যালায়েন্স ২০০৩ সাল থেকে প্রতি বছর দিয়ে আসছে, যা ২০১৯ সালে সেন্টার ফর ইনকোয়ারি (সিএফআই) অধিগ্রহণ করে। গত বছর এই পুরস্কারটি পেয়েছিলেন ব্রিটিশ কৌতুকাভিনেতা, লেখক ও প্রযোজক রিকি গেরভাইস।
সিএফআই তেমন একজনকেই এই পুরস্কার দেয়, "যিনি বিজ্ঞান, শিক্ষা, জ্ঞানচর্চা, বিনোদনের জগতে এক বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং যিনি প্রকাশ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা ও যুক্তিবাদিতার পক্ষে সওয়াল করেন এবং বৈজ্ঞানিক সত্যের পক্ষে দাঁড়ান, সেই সত্য তাঁকে যেখানেই পৌঁছে দিক l"
এ বছর রিচার্ড ডকিন্স পুরস্কার পাচ্ছেন...
৭ জুনেই সোশাল মিডিয়ায় চাউর হয়ে যায় যে, এ বছর রিচার্ড ডকিন্স পুরস্কার পাচ্ছেন গীতিকার জাভেদ আখতার, যিনি এই প্রথম ভারতীয় প্রাপক। সঙ্গে-সঙ্গেই ভারতীয় গণমাধ্যম (এনডিটিভি ,হিন্দুস্তান টাইমস),এই খবর প্রচারও করে। সোশাল মিডিয়ায় অনেক বিশিষ্ট অভিনেতা, রাজনীতিক, সাংবাদিক এবং আখতার ও আজমি পরিবারের সদস্যরা জাভেদকে অভিনন্দনও জানান।


অথচ হোয়াটস্যাপ কী বলছে...
কিছু দিনের মধ্যেই একটি হোয়াট্স্যাপ বার্তার স্ক্রিনশট ইন্টারনেটে আত্মপ্রকাশ করে, যাতে দাবি করা হয়, জাভেদ সত্যই-সত্যিই ওই পুরস্কারটি জেতেননি। বার্তাটিতে দাবি করা হয় লন্ডনের কিছু সমাজকর্মী ও যুক্তিবাদীর একটি গোষ্ঠী রিচার্ড ডকিন্সকে ই-মেল করে জাভেদের নাম পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করতে বলে। আর জাভেদ ওই সুপারিশের চিঠিটাকেই নাকি তাঁর পুরস্কার প্রাপ্তির চিঠি ভেবে বসেন।
'হাম ভারত কে লোগ' নামে একটি টুইটার হ্যান্ডেল @ইন্ডিয়া_পলিসি ওই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার স্ক্রিনশটটি টুইট করে দাবি করে, এনডিটিভি-তে তাঁর এক বন্ধু নাকি ওই বার্তাটি তাঁকে পাঠিয়েছে! শাবানা আজমি তখন এই ভুয়ো বার্তাটির বিরোধিতা করে বলেন, রিচার্ড ডকিন্স নিজে চিঠি দিয়ে জাভেদকে তাঁর এই পুরস্কার-প্রাপ্তির সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। সিএফআই-এর সিইও রবিন ব্লুমনারও একই মর্মে জাভেদকে মেল করেছেন।

ইন্ডিয়া_পলিসি শাবানা আজমিকে বিদ্রূপ করে জানতে চায়, ওই ই-মেল থেকে কি নাইজিরিয়ার কোনও ব্যাংকে কিছু টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে? উদ্দেশ্য পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয়টিতে একটা আর্থিক দুর্নীতির রঙ চড়ানো। বোক শ্রী শনিচর নামের অন্য একটি অ্যাকাউন্ট থেকেও ওই স্ক্রিনশটটিই শেয়ার করা হয়:

টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে

তথ্য যাচাই

বুম এ প্রসঙ্গে শাবানা আজমির সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এই কদর্য ইঙ্গিতটা নস্যাত্ করে দেন যে, ই-মেলটিতে জাভেদকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা ছিল না, পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার অনুরোধ ছিল মাত্র। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার ভুয়ো দাবি খারিজ করতে তিনি রিচার্ড ডকিন্স এবং সিএআই-এর সিইও ব্লুমনার-এর মেল-এর প্রতিলিপিও আমাদের দেন এবং সেগুলির সত্যতা যাচাই করে দেখতে বলেন।

"এই ধরনের অভিযোগ অসহ্য। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম, একটা টুইটেই ব্যাপারটা সেরে ফেলব। কিন্তু তাতে বিভ্রান্তি রয়েই যেত l"


ব্লুমনারের ই-মেলে স্পষ্ট ভাবেই লেখা আছে যে, জাভেদ আখতারই ২০২০ সালের রিচার্ড ডকিন্স পুরস্কারের প্রাপক, যা বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদকে এগিয়ে নিয়ে যেতে জাভেদের প্রচেষ্টারই স্বীকৃতি। ই-মেলটি পাঠানোও হয় 'আরব্লুমনার@সেন্টারফরএনকোয়ারি.অর্গ'এই ঠিকানা থেকে, যেটা সিএফআই-এর ওয়েবসাইট অনুসারে ব্লুমনারের সরকারি ই-মেল ঠিকানা।

রবিন ব্লুমনারের ইমেল সহ প্রোফাইল, সিএফআই ওয়েবসাইটে।

এথেকে প্রমাণ হয়, জাভেদ আখতারকে পাঠানো ব্লুমনারের ই-মেলটি যথাযথ এবং তাতে জাভেদের পুরস্কার প্রাপ্তির কথাই উল্লেখিত। ব্লুমনার সেই সঙ্গে রিচার্ড ডকিল্সের নিজের পাঠানো আই-ক্লাউড ই-মেলটির একটি কার্বন-কপিও সংযোজন করে দেন।

বুম ইতিমধ্যেই ব্লুমনারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে এবং এ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেলেই এই প্রতিবেদনটি তদনুযায়ী সংশোধন করা হবে।

শাবানা আজমি ডকিন্সের আই-ক্লাউড ই-মেলে পাঠানো আর একটি চিঠির প্রতিলিপিও আমাদের দিয়েছেন।


তাতে এ বছরের পুরস্কার প্রাপক হিসাবে জাভেদ আখতারের নাম যে সিএফআই বোর্ডের সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন, সেই তথ্য রয়েছে। রিচার্ড ডকিন্স সেই মেল-এ জানাচ্ছেনঃ "পরিচালকমণ্ডলী সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে—এবং আমি নিজেও সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত যে, যুক্তিবাদ ও নাস্তিকতার পক্ষে আপনার অত্যন্ত উচ্চাঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং প্রকাশ্য বিবৃতি অতিশয় প্রশংসনীয় এবং পুরস্কৃত হওয়ার যোগ্য l"

ই-মেলে আরও জানানো হয়েছে যে, সিএফআই-এর ২০২০ সালের বার্ষিক সম্মেলনে, যেখানে এই পুরস্কারটি প্রাপকের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল, সেটি মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বাতিল করা হয়েছে এবং এ বছরই অক্টোবরের কোনও এক সময়ে সেটি এক অনলাইন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জাভেদ আখতারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

অবশেষে ডকিন্স নিজেই সব বিতর্কের অবসান ঘটাতে একটি টুইট করে পুরস্কার-বিজেতা হিসাবে জাভেদ আখতারের নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন এবং সিএফআই-ও একটি প্রেস-বিবৃতিতে সে কথা ঘোষণা করেছে।

Related Stories