Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

ভুয়ো পোস্টের দাবি ফরাসি পণ্য বয়কটের ফলে ফ্রান্সে অর্থনৈতিক সঙ্কট

পোস্টে ফরাসি পণ্য বয়কটের ফল মিলছে দাবি করতে অগস্টে প্রকাশিত একপ্রেসের একটি প্রতিবেদন ও মন্দা সূচকের ছবি ব্যবহার হয়েছে।

By - Mohammed Kudrati | 5 Nov 2020 7:40 AM GMT

একটি ভাইরাল পোস্টে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে যে, ফরাসি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে মুসলিম দুনিয়ায় ফরাসি দ্রব্য বর্জনের ডাক, ফ্রান্সের অর্থনীতিতে হঠাৎ ধ্বস নামিয়েছে।

ভাইরাল পোস্টটিতে তিনটি স্ক্রিনশটের একটি কোলাজ তৈরি করা হয়েছে। প্রথমটি হল, অগস্টে প্রকাশিত একটি লেখার স্ক্রিনশট। তাতে বলা হয়, কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে ফ্রান্সের জিডিপি হ্রাস পেয়েছে। দ্বিতীয়টি হল, ২৭ অগস্টের শেয়ার বাজারের সূচক। তাতে সিএসি ৪০ সূচক পড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। আর তৃতীয়টি হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর একটি টুইটের স্ক্রিনশট, যাতে উনি বলেছেন যে, ফ্রান্স কোনও মতেই মাথা নত করবে না। সব মতপার্থক্য তাঁরা শান্তিপূর্ণ উপায়েই সমাধান করেন।
ফেসবুক পেজ 'উম্মাত-এ-নবী'র একটি পোস্ট নীচে দেখা যাবে। ১,১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি পোস্টটি দেখেছেন। এবং ৪৬০ বারেরও বেশি শেয়ার করা হয়েছে সেটি। সেটির আর্কাইভ এখানে
দেখা যাবে। 'ফ্রান্স ধংস হয়েছে' শিরোনামের একটি লম্বা ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ওই তিনটি ছবি। সেটির প্রাসঙ্গিক অংশের অনুবাদ নীচে দেওয়া হল।
Full View
তার কাজের জন্য ফ্রান্স ধ্বংস হয়েছে। দু দিনেই ফ্রান্সের শেয়ার বাজার পড়ে গেছে। সে দেশের কম্পানিগুলির এত লোকসান হচ্ছে যে, তারা টুইট করে লোকসানের হাত থেকে তাদের বাঁচানর জন্য আবেদন করেছে (তার মানে তাদের শিক্ষা হয়েছে)। মুসলমান দেশগুলি ফ্রান্সের জিনিস বর্জন করেছে। "সব মুসলমান এক হয়েছে আর আমাদের শত্রুরা এখন ধরাশায়ী"
মূল পোস্টের সারাংশবাংলাতে অনুবাদ

फ्रांस अपनी करतूत की वजह से बर्बाद हो गया है,, सिर्फ दो दिन मे " France I share market Is Down"🔥🔥Company is Down. France की कपनियों मे इतना घाटा हुआ है कि फ्रांस "ट्विटर पर ट्वीट करके बोल रहा है" मेरी बर्बादी को रोको,,,अपील करा है( मतलब अब होश ठिकाने आ गये) मुस्लिम देशों ने "France product" का बहिष्कार किया, ,"सब मुसलमानों का साथ मिला,,, दुश्मन जमीन पर आ गिरा"

তার কাজের জন্য ফ্রান্স ধ্বংস হয়েছে। দু দিনেই ফ্রান্সের শেয়ার বাজার পড়ে গেছে। সে দেশের কম্পানিগুলির এত লোকসান হচ্ছে যে, তারা টুইট করে লোকসানের হাত থেকে তাদের বাঁচানোর জন্য আবেদন করেছে (তার মানে তাদের শিক্ষা হয়েছে)। মুসলমান দেশগুলি ফ্রান্সের জিনিস বর্জন করেছে। "সব মুসলমান এক হয়েছে আর আমাদের শত্রুরা এখন ধরাশায়ী।"  

তথ্য যাচাই

দাবি-১: বয়কটের জন্য ধ্বস
শিরোনামটি দিয়ে সার্চ করলে, দেখা যায়, সেটি 'দ্য এক্সপ্রেস'-এ প্রকাশিত একটি সংবাদ প্রতিবেদন থেকে নেওয়া।। ২৯ অগস্ট ২০২০ তে বেরয় প্রতিবেদনটি। ওই রিপোর্টটিতে ফরাসি সরকারের পরিসংখ্যান সংস্থা আইএনএসইই-র দেওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, অর্ধ-বার্ষিক হিসেব অনুযায়ী, ফ্রান্সে ১৩.৮% সঙ্কোচন দেখা দিয়েছে। এবং তা ১৯৪৯-এর মন্দার পর সবচেয়ে বেশি। লেখাটিতে আরও বলা হয়, কোভিড-১৯ অতিমারি থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ওই সঙ্কোচন দেখা দিয়েছে। ওই লেখার সঙ্গে বর্তমান আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক নেই। দ্য এক্সপ্রেসের লেখাটি
এখানে
 পড়া যাবে।
এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনের শিরোনাম।
লেখাটিতে স্পষ্ট বলা হয় যে, অতিমারির কারণেই অর্থনীতির এমন অবস্থা হয়েছে। "মার্চের মাঝামাঝি থেকে মে'র মাঝামাঝি পর্যন্ত লকডাউনের ফলে অত্যাবশ্যক নয় এমন সব কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে ২০২০-র প্রথমার্ধের নেগেটিভ জিডিপি যুক্ত।"
দাবি-২: বয়কটের ফলে শেয়ার বাজারে ধ্বস নেমেছে
কোলাজের দ্বিতীয় স্ক্রিনশটটিতে দেখানো হয় সিএসি ৪০-এর সূচক। সেটি ইয়োরোনেক্সট প্যারিস স্টক মার্কেটের ৪০ টি শীর্ষ শেয়ারের বাজার দরের ভিত্তিতে তৈরি একটি সূচক। ওই সূচককে একটা মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়। ছবিটি বড় করলে দেখা যায়, সেটিতে ২৭ অক্টোবরের শেয়ারের দাম দেখানো হয়েছে। পোস্টের ছবিটি নীচে দেওয়া হল।

সিএসি ৪০-এর পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে যে, ২০ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সূচক ৪০০ পয়েন্ট পড়ে যায়। কিন্তু চলতি বয়কটের কারণেই এমনটা ঘটেছে এটা বলা বিভ্রান্তিকর। মুসলিম দুনিয়ায় অস্থিরতার পাশাপাশি, এক মাসের জন্য নতুন করে কোভিড-১৯ লকডাউনের ফলে অপরির্য নয় এমন কাজকর্ম আবার বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ৩ নভেম্বরের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনও শেয়ার বাজারের ওপর প্রভাব ফেলে। দ্বিতীয় দফায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়ায়, ফ্রান্সে ২৯ অক্টোবর আবার এক মাসের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
Full View
মাকরঁর একটি টুইটও ওই পোস্টটিতে আছে। টুইটটি নীচে দেওয়া হল। এই টুইটটি আরবিতে হলেও, মাকরঁ ইংরেজিতেও টুইট করেন। সেটি
এখানে
 দেখা যাবে। টুইটারের অনুবাদ করার ব্যবস্থাটি কাজে লাগিয়েও টুইটটির ইংরেজি সংস্করণটি দেখা সম্ভব।
এক সপ্তাহের একটু বেশি সময়ের মধ্যে ফ্রান্সে দু'টি হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। এবং বলা হচ্ছে, দু'টি ঘটনাই ইসলামপন্থীরা ঘটিয়েছে। ঘটনাগুলির সূত্রপাত ১৬ অক্টোবর। স্যামুয়েল প্যাটি নামের এক স্কুল শিক্ষক তাঁর ক্লাসে নবী মহম্মদের একটি ব্যঙ্গচিত্র দেখিয়ে ছিলেন বলে, ওই দিন এক চেচেন আক্রমণকারী তাঁর শিরশ্ছেদ করে। ইসলামের মতে, মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র আঁকা বা দেখানো এক চরম ধর্মবিরোধী কাজ। মাকরঁ ওই ব্যঙ্গচিত্র আঁকাকে সমর্থন করেছেন। তার ফলে, বিশ্বজুড়ে তাঁর ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। মুসলমান সম্প্রদায়ের কেউ কেউ মাকরঁর কুশপুত্তলিকা দাহ করেন ও ফ্রান্সে তৈরি দ্রব্য বর্জন করার ডাক দেন।
দ্বিতীয়টি হল নিস শহরের একটি গির্জায় শিরচ্ছেদের ঘটনা। বলা হচ্ছে, সেখানে এক তিউনেশীয় তিনজনকে হত্যা করে। ফ্রান্সে এখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২০১৫ তে, শার্লি এবদো-র কার্টুনগুলির পর, ইসলামের ব্যক্তি বিশেষদের ওপর আঁকা ব্যঙ্গচিত্র মাঝেমাঝেই দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করেছে।
তাছাড়া, তাদের লোকসান কমানর জন্য ফরাসি কম্পানিগুলি টুইটের মাধ্যমে সাহায্যের জন্য আবেদন চাইছে - এই দাবিকে সমর্থন করে এমন কোনও প্রমাণ বুম খুঁজে পায়নি।

Related Stories