অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও লিবারাল দলের নেতা ম্যালকম টার্নবুল-এর ভারতের ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন ও তার ফলে ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে একটি বিভ্রান্তিকর মন্তব্য শেয়ার করা হচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়।
বুম যাচাই করে দেখে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচন ও ভারতের অর্থনীতিতে তার প্রভাব নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
ম্যালকম টার্নবুলের ছবি সহ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া গ্রাফিক পোস্টে মিথ্যে মন্তব্য লেখা হয়েছে, ''অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাননীয় ম্যাকুলাম টার্নবুল মন্তব্য করেন যে- ২০১৯ সে পুনরায় যদি ভরাতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হয়, আতি শীঘ্রই ভারতবর্ষ একটা ভিখারির দেশে পরিনত হবে।'' (বানান অপরিবর্তিত)
ক্যাপশন সহ ফেসবুকে সার্চ করলে দেখা যায় একই দাবি সহ গ্রাফিক পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে।
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখে "ম্যাকুলাম টার্নবুল" নামে অস্ট্রেলিয়ার কোনও প্রধানমন্ত্রী নেই। লেবার দলের নেতা ম্যালকম টার্নবুল অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত।
বুম গণমাধ্যমে ম্যলকম টার্নবুলের ভারতের অর্থনীতি ও ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচন বিষয়ে নেতিবাচক কোনও মন্তব্য খুঁজে পায়নি।
বুম ম্যালকম টার্নবুলের টুইটার অ্যাকাইন্টে অ্যাডভান্সড সার্চ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ২০১৯ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করা প্রসঙ্গে একটি টুইট খুঁজে পায়। টার্নবুল ওই টুইটে লেখেন, "প্রধানমন্ত্রী মোদী অভিনন্দন নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য। আপনার ভারতের প্রতি দৃষ্টি অনুপ্রেরণার যেমনটা আমরা অক্ষরধাম মন্দিরে আলোচনা করেছিলাম। আর এখন আরও একবার বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র ভারতের জনগণ সমর্থন করল।"
(মূল ইংরেজিতে মূল টুইট: Congratulations PM @narendramodi on your election victory. Your vision for India is inspiring as we discussed at the Akshardham Temple and now again endorsed by the people of India - the world's largest ডেমোক্রেসি)
ম্যালকম টার্নবুল ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ভারতে আসেন। গণমাধ্যমটাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী টার্নবুলের এই সফরে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বহু চর্চিত অর্থনৈতিক চুক্তি না হলেও প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, শক্তি এবং বিপনন সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন। এব্যাপারে আরও বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
সে বছরের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদী টার্নবুলকে ফোন করে অস্ট্রোলিয়া সরকারের কাজের ভিসা বন্ধ সংক্রান্ত সিন্ধান্তের বিষয়টি নিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান।
কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের তরফে সাধারণত প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হয়, এক্ষেত্রে সেরকম কোনও সংবাদ প্রতিবেদন বুমের নজরে আসেনি।
আরও পড়ুন: ভুয়ো দাবি সহ ছড়াল জেপি নাড্ডার সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বিকৃত ছবি