অভিনেত্রী ও কংগ্রেস সদস্য সম্প্রতি একটি ফুটেজ শেয়ার করেন যাতে পুলিশের সামনেই একদল লোককে পাথর ছুঁড়তে দেখা যাচ্ছে। উনি দাবি করেন যে, ওই ফুটেজ থেকে স্পষ্ট উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালে দিল্লি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তাঁর দাবি মিথ্যে। ডিসেম্বর ২০১৯-এ উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংস পুলিশি দমনের সময় ভিডিওটি তোলা হয়।
ভিডিওটির ক্যাপশনে নাগমা বলেন: "কারো কি মনে হচ্ছে দিল্লি পুলিশ তাদের কাজ করছে...এই ভিডিও দেখে তাঁরা তাঁদের ভুল ধারণা বদলে নিন।"
২ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক দল লোক এক দিকে লক্ষ করে পাথর ছুঁড়ছে আর পুলিশ তাদের পেছনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে। পুলিশ ওই দিক লক্ষ করে গুলি চালালে, জনতা সেই দিকে ছুটে যেতে থাকে।
তথ্য যাচাই
ভিডিওটির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রেম নিয়ে বুম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে। দেখা যায় সোশাল মিডিয়ায় অনেক পুরনো পোস্টেও ওই একই ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছিল। টু্ইটার ব্যবহারকারী দিলওয়ার খান ৫ জানুয়ারি ২০২০-তে ওই একই ফুটেজ ব্যবহার করেন। ক্যাপশনে বলা হয় ভিডিওটি "ফিরোজাবাদ"-এ তোলা।
বর্তমানে ফেসবুক পোস্টটিকে নিয়ম লঙ্ঘন করায় মুছে দিয়েছে।
ওই সূত্র ধরে, ৫ জানুয়ারি ২০২০'র আগে ওই রকম কোনও ঘটনা ঘটেছিল কিনা, সেই তথ্য সার্চ করা হয়। তার ফলে, 'টাইমস অফ ইন্ডিয়া'র একটি রিপোর্ট সামনে আসে। উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ওই আইনের বিরোধীদের ওপর পুলিশের তাণ্ডবের একটি ভিডিওর উল্লেখ ছিল তাতে।
রিপোর্টটির সঙ্গে ওই ভিডিওটিও দেওয়া হয়। তাতে যে ছবি দেখা যায়, তা নাগমার পোস্ট করা ফুটেজের সঙ্গে হুবহু নিলে যায়।
স্পষ্টতই, ভিডিওটি পুরনো এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে শুরু-হওয়া দিল্লির দাঙ্গার সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই