ইতালির হেরিটেজ স্থাপত্যের ভিডিও শেয়ার করে সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যে দাবি করা হচ্ছে সেগুলি গাঁধী পরিবারের মালাকানাধীন। ওই ভিডিওতে আরও মিথ্যে দাবি করা হয়েছে সারা দেশের টাকা লুঠে নাকি এই ইমারত ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা আছে রাহুল গাঁধীর।
১ মিনিট ৩ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায় এক ব্যক্তি তাঁর ফোনের ক্যামেরায় ভিডিও রেকর্ড করছেন। পিছনের বড় বড় প্রাসাদোপম অট্টালিকার দিকে নির্দেশ করে গুজরাটি ভাষায় দাবি করছেন এগুলি গাঁধী পরিবারের মালিকানাধীন। সারা দেশের রাজকোষ লুট করেই নাকি রাহুল গাঁধী ও সনিয়া গাঁধী এই বিশাল ইমারতগুলির মালিক হয়েছেন। রাহুল গাঁধীর ব্যবসা নাকি ওই অট্টালিকাগুলি ভাড়া দেওয়া।
ফেসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ''ভারতে লুট করে ইতালীতে সাম্রাজ্য বানিয়ে ভাড়া গুনছে গাধী পরিবার। একজন প্রবাসী ভারতীয়র ভিডিও দেখুন।''
ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে। ফেসবুক পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম ভিডিওটির কয়েকটি দৃশ্য মূল ফ্রেমে ভেঙে নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখে এই ইমারতগুলি গাঁধী পরিবারের মালিকানাধীন নয় যেমনটি ওই ফেসবুক পোস্টগুলিতে দাবি করা হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি উত্তর ইতালির পিডমন্টের তুরিন রাজপ্রাসাদের ছবি। যার নাম 'Palazzo Reale Torino'। এই প্রাসাদের প্রবেশ দ্বারে রয়েছে অশ্বারোহী দুই সৈনিকের স্থাপত্য। ১৬ শতাব্দিতে তৈরি হলেও পরে এই স্থাপত্যের আধুনিকরণ করা হয়। ১৯৪৬ সালে এটিকে রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি হিসেবে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব হেরিটেজ এলাকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
বুম ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সঙ্গে গুগল ম্যাপের স্ট্রিট ভিউয়ের তুলনা করেছে।