পাশাপাশি বসা তিন আইপিএস আধিকারিকের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দাবি করা হচ্ছে যে, তাঁরা পরস্পর ভাইবোন এবং সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজেদের পরিবারকে গর্বিত করেছেন। বুম দেখেছে, পরপর বসে থাকা ওই তিন আইপিএস অফিসার শ্রুত কীর্তি সোমবংশী, পূজা বশিষ্ঠ এবং তুষার গুপ্ত মোটেই পরস্পরের আত্মীয় নন।
ফেসবুকে এই ছবিটির ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে: ''শুধু জিনস, সিগারেট নয়...সমান অধিকার, সমান মর্যাদা বলতে এটা বুঝতে হবে সমাজকে। এক পরিবারে তিন ভাই বোন IPS অফিসার!! মেয়ে মানে "কাঁধের বোঝা" নয়, আমাদের উচিত মেয়েদেরকে "বোঝা!" সঠিক সুযোগ পেলে শুধু ছেলে নয় মেয়েও বংশের মুখ উজ্জল করবে!! ছেলেকে আলাদা করে মানুষ, মেয়েকে আলাদা করে মানুষ না করে দুজনকে "সন্তান" হিসাবে মানুষ করুন, দেখবেন একদিন গর্ব করে বলবেন..."ও আমার মেয়ে!")
দ্য ক্যাম্পাস টুডে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন লিখেছে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে। প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
আরও পড়ুন: না, এটি অষ্টাদশী মাদার টেরিজার ছবি নয়
তথ্য যাচাই
বুম রুশ সার্চ ইঞ্জিন ইয়ান্ডেক্স-এর মাধ্যমে ছবিটির খোঁজ করে দেখেছে, এটি প্রথম হরিয়ানা ক্যাডারের আইপিএস প্রবেশনার পূজা বশিষ্ঠ তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন ২২ অগস্ট। পোস্টটির ক্যাপশন ছিল: "যারা মানুষের জীবনযাপনকে সহজ করে তোলে #আমার লোকেরা #আইপিএস-এর জীবন # আনুষ্ঠানিক পোশাক #খাকি।"
পোস্টটিতে শ্রুত কীর্তি সোমবংশী এবং তুষার গুপ্তকেও ট্যাগ করা হয়েছিল শ্রুতসোম এবং তুষারজি _আইপিএস নামে। বুম মধ্যপ্রদেশ ক্যাডারের আইপিএস অফিসার সোমবংশীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি গোটা আত্মীয়তার গল্পটাকেই ভুয়ো গুজব বলে খারিজ কররে দেন। বলেন—তাঁরা ভাই-বোন তো ননই, এমনকী আত্মীয়ও নন। ২০১৮ সালের আইপিএস পাঞ্জাব ক্যাডারের তুষার গুপ্ত জানান, ছবিটা একটা প্রশিক্ষণ সেশনের সময় আইপিএস-দের মেস-এ তোলা হয়েছিল।
তুষার গুপ্তও ওই একই ছবি পোস্ট করেছিলেন।
বুম তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর সোমবংশী ও তুষার উভয়েই ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করে ব্যাখ্যা দেন যে, কেউ যেন এই ভুয়ো ও মিথ্যা পোস্ট শেয়ার না করেন। সেই পোস্টের স্ক্রিনশটটি নীচে দেখুন।