তবু গুজবটা বিশ্বাসযোগ্য হয় এই কারণে যে, হিন্দু মহাসভা এই মর্মে একটা দাবিও তুলেছে, যা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে একটি
সংবাদ-প্রতিবেদনে প্রকাশিতও হয়েছিল।
তবে এই নাম পরিবর্তন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও গৃহীত হয়নি।
বুম রাষ্ট্রপতি ভবনের এক আধিকারিকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এর সত্যতা অস্বীকার করেনl বলেন, "গত কিছুকাল ধরে এই গুজবটা খুব ছড়িয়েছিল, চির-পাঁচ দিন ধরে, কিন্তু এটা সত্য নয়, অন্তত এখনও পর্যন্ত এ ধরনের কোনও খবর নেই।" যেহেতু গণমাধ্যমের কাছে মুখ খোলার তাঁদের এক্তিয়ার নেই, তাই তিনি নিজের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ছিলেন।
মুঘল গার্ডেন হল রাষ্ট্রপতি ভবনের তিনটি উদ্যানের অন্যতম। ১৫ একর জমির উপর বি্তৃত এই উদ্যানটির পরিকল্পনা করেছিলেন স্যর এডুইন লুটিয়েনস, ১৯১৭ সালে। মুঘল শৈলী আর ব্রিটিশ বাগিচা নির্মাণের শৈলী মিশিয়ে এটি তৈরি করা হয়, তাই এমন নাম। দিল্লি সফরকারী পর্যটকদের কাছে এই উদ্যান একটা বিশিষ্ট আকর্ষণ।
ডাঃ রাজেন্দ্রপ্রসাদ ছিলেন একজন ভারতীয় আইনজীবী, সাংবাদিক এবং স্বাধীন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি।
বুম দেখেছে, এই গুজবটি গত বেশ কিছু দিন ধরেই অনলাইনে ঘুরছে।
স্মিতা দেশমুখ নামে একজনের এই মর্মে একটি টুইট ২৫০০ বার রিটুইট হয়েছে। টুইটটির স্ক্রিনশট ফেসবুকেও শেয়ার হচ্ছে। তাতে লেখা: "কোভিডের সময়ে এর চেয়ে ভাল খবর আর হয় না—মুঘল গার্ডেনের নাম পাল্টে রাজেন্দ্রপ্রসাদ গার্ডেন রাখা হয়েছে।"
নীচে এই পোস্টগুলি দেখে নিতে পারেন আর এর আর্কাইভ বয়ান দেখতে পারেন
এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছে, এ ধরনের কোনও সংবাদ-প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি, যাতে মুঘল গার্ডেনের নাম পাল্টে রাজেন্দ্রপ্রসাদ উদ্যান রাখা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একমাত্র যে খবরটি বেরিয়েছে, তা হল কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে পর্যটকদের জন্য গার্ডেনটি বন্ধ রাখার খবর। পড়ুন
এখানে।
প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরোর তথ্য-যাচাই হ্যান্ডেল থেকেও এই গুজবটি দৃঢভাবে অস্বীকার করা হয়েছে: