পুলিশ প্রকাশ্যে অপরাধীদের মারছে, একরম একটি অস্বস্তিকর ভিডিও আবার প্রচারে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের। সেখানে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যে সব বিক্ষোভকারীরা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছিল, তাদের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ভিডিওতে পুলিশকে পালা করে আইন ভঙ্গকারীদের বেধড়ক মারতে দেখা যাচ্ছে, আর সাহায্যের জন্য চিৎকার করছে তারা। ভিডিওটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "ইউপি পুলিশ নিবেদন করছে শর্ট ফিল্ম 'পাথর ছোঁড়ার ফল'। যারা দেশের সম্পত্তি ধ্বংস করে, তাদের প্রতি এই ধরনের আচরণই করা উচিৎ।"
(হিন্দিতে লেখা হয়: UP Police प्रस्तुत शॉर्ट फिल्म अंजाम ऐ पत्थरबाजी देश की संपत्ति को नुकसान पहुचाने वालो के साथ यही होना चाहिये)
বুম দেখে ২০১৫ সালে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে ঘটনাটি ঘটেছিল। সেখানে পুলিশ অপরাধীদের প্রকাশ্যে মারধোর করে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হওয়ার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। বিশেষকরে উত্তরপ্রদেশে ওই বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা তাণ্ডব চালায়, পুলিশ চৌকি জ্বালিয়ে দেয়, এবং গাড়িতে আগুন লাগায়। পুলিশ পাল্টা লাঠিচার্জ করে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
ভাইরাল হওয়া টুইটগুলি নীচে দেখা যাবে। টুইটদুটি আর্কাইভ করা আছে এখানে ও এখানে।
UP Police प्रस्तुत शॉर्ट फिल्म अंजाम ऐ पत्थरबाजी
— Akash RSS (@Satynistha) January 2, 2020
देश की संपत्ति को नुकसान पहुचाने वालो के साथ यही होना चाहिये pic.twitter.com/6nrAtv7Oiz
UP Police प्रस्तुत शॉर्ट फिल्म "अंजाम ऐ पत्थरबाजी"👇🏼👇🏼👇🏼👇🏼👇🏼
— Bharat singh khariya (@BharatKhariya) January 17, 2020
👍@Uppolice @myogioffice pic.twitter.com/GXSU3u7nJO
একই বয়ানে ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি।
তথ্য যাচাই
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তথ্য-যাচাই হ্যাণ্ডেল একটি ভাইরাল টুইটের জবাবে বলে, ঘটনাটি তাদের রাজ্যে ঘটেনি। টুইটে তাঁরা জানান, "ভিডিওতে যে ঘটনা দেখানো হয়েছে, তার সঙ্গে ইউপি পুলিশের কোনও সম্পর্ক নেই। দয়া করে ভুল খবর ছড়াবেন না।"
वीडियो में दिखायी जा रही घटना @UPPolice से संबंधित नहीं है कृपया भ्रामक प्रचार न करें!#UPPAgainstFakenewshttps://t.co/WDp95grvnX https://t.co/d60Mlj0vL0
— UPPOLICE FACT CHECK (@UPPViralCheck) January 17, 2020
আসল ঘটনার লিঙ্কও শেয়ার করে ইউপি পুলিশ।
ভিডিওটি ২০১৫ সালের মে মাসে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে কয়েকটি ধারাবাহিক ঘটনার একটির ছবি। এবিপি নিউজের বুলেটিন অনুযায়ী, ইন্দোর পুলিশ দফায় দফায় অপরাধীদের ধরে এনে তাদের প্রকাশ্যে মারধোর করে। উদাহরণ স্থাপন করে শহরে অপরাধ বন্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য বলে জানায় তারা।
মিথ্যে দাবি সহ ভাইরাল-হওয়া দু'টি ক্লিপই দেখানো হয় বুলেটিনে। ইন্দোর পুলিশ বলে, শহরে সন্ত্রাস দমনের উদ্দেশ্যেই তারা অপরাধীদের প্রকাশ্যে পেটানোর ব্যবস্থা করেছে।
একই বিষয় নিয়ে আজতকের প্রতিবেদন পড়া যাবে এখানে।