মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে শাহরুখ খানের সঙ্গে এক শিশুর তোলা পুরনো ছবি জিইয়ে উঠেছে নেটিজেনদের ভুয়ো চিহ্নিত করণের মাধ্যমে। ওই ছবিটিকে বলা হচ্ছে শিশুটি আরবিনা খাতুনের যিনি মুজফ্ফরপুরগামী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে চড়তে গিয়ে মারা যান।
মুজফ্ফরপুর রেলওয়ে স্টেশনে একটি শিশুর তার মৃত মায়ের শরীরের উপর চাপা দেওয়া কাপড় নিয়ে খেলার স্পর্শকাতর ভিডিও ভাইরাল হলে, শাহরুখ খানের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মির ফাউন্ডেশন শিশুটির সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে। গত ১ জুন মির ফাউন্ডেশন জানায় যে তাদের সংস্থা ওই শিশুটিকে সাহায্য করার দায়িত্ব নিয়েছে। শিশুটি বর্তমানে তার দাদুর কাছে রয়েছে। গুজরাত থেকে বিহারগামী শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে ওই শিশুটির মায়ের খাবার এবং জলের অভাবে মৃত্যু হয় বলে খবরে প্রকাশ।
খানের সঙ্গে একটি শিশুর পোজ দেওয়ার ছবি দ্রুত ভাইরাল হয় এবং ছবিটিতে দাবি করা হয় যে এই ছবির শিশুটি আরবিনা খাতুনের ছেলে। আরও বলা হয় যে বলিউড অভিনেতা শিশুটির সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। অনেকেই আবার শিশুটিকে মৃতা আরভিনা খাতুনের বড় ছেলে বলে পরিচয় দিয়েছেন।
ভাইরাল হওয়া
ফেসবুক পোস্টটিতে বাংলায় লেখা হয়, "ছোট্ট সেই শিশুটির সাথে কিং খান। মুজাফরনগর স্টেশনের সেই শিশুটির পাশে দাঁড়ালেন বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান। গত সপ্তাহেই, বিহারের মুজফফরপুর স্টেশনের একটি ভিডিয়ো আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। এরপরই 'বাদশা' সিদ্ধান্ত নেন ওই, শিশুটির সমস্ত দায়-দায়িত্ব নেওয়ার৷"
ছবিটি আর্কাইভ করা আছে এখানে। নিচে ছবিটির স্ক্রিনশট দেখতে পাবেন।
বুম রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান করে দেখতে পায় ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ শাহরুখ খান ইউনিভার্স ফ্যান ক্লাব টুইটারে এই আলোচ্য ছবিটি আপলোড করে। সঙ্গে ক্যাপশন ছিল, "নানাবতী হাসপাতালে কিং খান অন্যদের সঙ্গে কথা বলছেন।"
টুইটটি দেখা যাবে
এখানে। ২০১৭ সালে ১৭ মার্চ শাহরুখ খান বোন ম্যারো সেন্টারের উদ্বোধন করতে মুম্বই-এর নানাবতী হাসপাতালে যান।
একটি
প্রতিবেদনেও ছবিটি দেখা যায়। ওই প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল, "ছবিতে শাহরুখ খানকে নানাবতী হাসপাতালে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টারের উদ্বোধন করতে দেখা যাচ্ছে।"
বুম হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কর্তৃপক্ষ শাহরুখ খানের সঙ্গে ছবিতে যে শিশুটিকে দেখা যাচ্ছে, তাকে সনাক্ত করেন। কর্তৃপক্ষ আরও নিশ্চিত ভাবে জানান যে ওই শিশুটি এক জন রোগী। সে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের জন্য নানাবতী হসপিটালে ভর্তি হয়েছিল। তার অস্ত্রোপচারের সময়ও ঠিক করা হয়েছিল। তবে পরে শিশুটির অস্ত্রোপচার হয়েছিল কিনা তা জানা যায়নি।