ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন দুই অধিনায়ক অনিল কুম্বলে ও রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় জনতা দল (বিজেপি)-এর হয়ে কর্নাটকে ভোটে লড়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে একটি পুরনো খবর জিইয়ে তুলে ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর ভাবে শেয়ার করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সেপ্টেম্বর মাসে ঘোষণা করে সিরা (তুমকুর) ও রাজরাজ্যশ্রী নগর (বেঙ্গালুরু) বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে ৩ নভেম্বর। এই প্রেক্ষিতেই গ্রাফিক পোস্টটি শেয়ার করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিন ধার্য করেছে ১০ নভেম্বর। এব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে ৯ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিন ১৬ অক্টোবর।
বুম যাচাই করে দেখে যে, এটি সাম্প্রতিক ঘটনা নয়। ২০১৮ সালের কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির তরফে কুম্বলে ও দ্রাবিড়কে তাদের হয়ে ভোটের প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ওই দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার।
ফেসবুকে শেয়ার হওয়া গ্রাফিক পোস্টে অনিল কুম্বলে এবং রাহুল দ্রাবিড়ের ছবি সহ লেখা রয়েছে, "কর্নাটকে বিজেপি-র হয়ে ভোটে লড়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন কুম্বলে এবং দ্রাবিড় অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের।"
পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "অভিনন্দন আপনাদের"
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে খবরটি সাম্প্রতিক নয়। ২০১৮ সালে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজপির তরফে সিদ্ধারামাইয়া নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারে অনিল কুম্বলে ও রাহুল দ্রাবিড়কে আমন্ত্রন জানায় বিজেপি। যদিও প্রাক্তন এই দুই অধিনায়ক সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
বুম গুগলে কিওয়ার্ডে ইংরেজিতে "অনিল কুম্বলে ও রাহুল দ্রাবিড় বিজেপির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া" সার্চ করলে ২০১৮ সালে প্রকাশিত এব্যাপারে একাধিক প্রতিবেদন খুঁজে পায়।
ওই প্রতিবেদনগুলিতে কুম্বলে ও দ্রাবিড় ঘনিষ্ট সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যদিও ওই প্রতিবেদনগুলিতে সরাসরি মন্তব্য প্রকাশ থেকে বিরত থাকেন তাঁরা।
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে
দ্য প্রিন্ট,
ক্রিক ট্রাকার,
স্পোরটজ উইকি ও
ইন্ডিয়া ডট কম প্রভৃতি একাধিক গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তবে সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে বিজেপির তরফে ওই দুই ক্রিকেট খেলোয়াড়কে ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তাব ও তা প্রত্যাখ্যানে নিয়ে কোনও প্রতিবেদন নজরে আসেনি বুমের।
উল্লেখ্য,
অতীতে ভারতের বহু ক্রিকেটার যেমন মনসুর আলি খান পতৌদি থেকে শুরু করে গৌতম গম্ভীর, কীর্তি আজাদ, নভজ্যোৎ সিংহ সিধু সহ অনেকই অবসর গ্রহণের পরে
রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন।