সোশাল মিডিয়ায় চিনা প্রেসিডেন্ট শি-জিন পিং-এর মসজিদ সফরের ছবি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে যে, তিনি করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে চিনাদের রক্ষা করতে সেখানে গিয়ে প্রার্থনা করছেন। স্থানীয় সংবাদ-মাধ্যম সিসিটিভি-র লোগো সহ পোস্টটি বাংলা ও হিন্দিতে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে শি-কে যে মসজিদের সামনে দেখা যাচ্ছে, সেটি ইনচুয়ান শহরের শিংচেন মসজিদ এবং সেখানে শি ২০১৬ সালের জুলাই মাসে সফরে যান। অতএব, করোনাভাইরাসের সঙ্গে এই সফরের কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না।
পোস্টের ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে: "মসজিদে গেলেন চীনা রাষ্ট্রপতি, করোনা ভাইরাসের জাতীয় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে মসজিদে মসজিদে বিশেষ প্রার্থনা করার অনুরোধ করেন।"
ফেসবুকের একটি পোস্টে একই ধরনের ক্যাপশনে লেখা: "অবশেষে চীনের বোধোদয়!! রাষ্ট্রপতি মসজিদে এসে দোয়া চাইলেন করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য। আল্লাহ হেদায়েত নসিব করুন।"
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
ফেসবুকের অনেক গ্রুপে জিন-পিং-এর ছবি ও ক্যাপশন সহ পোস্টটি শেয়ার করা হয়েছে।
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
টুইটারের পোস্টগুলিতে ছবির বিবরণী একটু আলাদা, কিন্তু মসজিদ সফরের কারণ সম্পর্কিত ভুয়ো দাবিটি একই।
ये है चीन के राष्ट्रपति इन्होंने इस्लाम को मिटाने की पूरी कोशिश की लेकिन जब अल्लाह का अजाब आया तो इन्हे अल्लाह के घर में आना पडा इस्लाम को मिटाना नामुमकिन है।#JusticeForKafeelKhan pic.twitter.com/QLdcwyj4br
— Salman Pathan🇮🇳and team (@SalmanP58) February 5, 2020
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
আরও পড়ুন: মিথ্যে: চিন করোনাভাইরাস আক্রান্ত ২০,০০০ রুগীকে মারতে কোর্টের অনুমতি চেয়েছে
তথ্য যাচাই
বুম দেখেছে, শি-জিন পিং-এর এই ছবিগুলি সিসিটিভি ভিডিও সংবাদসংস্থার তিন বছরেরও বেশি পুরনো ভিডিও থেকে নেওয়া। ভিডিওটিতে ২০১৬ সালের জুলাইয়ে উত্তর-পশ্চিম চিনের একটি মসজিদে প্রেসিডেন্ট শি-জিন পিং-এর সফরের দৃশ্য ধরা রয়েছে। ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলিতে ওই ভিডিওরই কয়েকটি স্থিরচিত্র তুলে নিয়ে তাকে করোনাভাইরাসের সাম্প্রতিক সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কিত করা হয়েছে।
ভিডিওটি নীচে দেখুন।সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে: "উত্তর-পশ্চিম চিনের নিংশিয়া হুই স্বশাসিত অঞ্চলে তাঁর সাম্প্রতিক তথ্য-সন্ধানমূলক সফরে চিনা প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার সকালে ইনচুয়াং শহরের শিনচেঙ মসজিদে বিশেষ সফরে যান। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের বৃহত্তম এবং উত্তর-পশ্চিম চিনের অন্যতম বৃহৎ এই মসজিদের ভিতরে ও বাইরে শি-জিন পিং মসজিদের ইমাম ও ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন এবং মতামত-বিনিময় করেন।"