বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া এক অপরাধী এবং কাশ্মীরে উগ্রপন্থীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া আপেলের ঝুড়িতে লুকনো কার্তুজ-গ্রেনেডের সম্পর্কহীন দুটি ছবিকে কোলাজ করে ফেসবুকে ভুয়ো দাবির সাথে শেয়ার করা হচ্ছে। ভুয়ো পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, গ্রেফতার হওয়া এই মুসলমান ব্যক্তিটি অসমের এক কংগ্রেস নেতা যিনি অসমে হিন্দুদের উপর আক্রমনের পরিকল্পনা করছিলেন।
ফেসবুক পোস্টে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, অসমের কংগ্রেস নেতা আমজাত আলি মসজিদ থেকে গ্রেফতার হলেন, তিনি মসজিদে আপেলের পেটিতে কার্তুজ আর অস্ত্র মজুত করে রেখেছিলেন অসমে হিন্দুদের উপর আক্রমণ করার জন্য, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
(মূল হিন্দিতে ক্যাপশন: "असम के कांग्रेस नेता अमजात अली सेब की पेटी में हथियार और गोलियां के साथ मस्जिद से हिरासत में। हिंदुओं को मारने का कर रहा था प्लान। पुलिस ने दबोचा.)
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে
এখানে।
ফেসবুক পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে একই ছবি ভাইরাল হলে
বিষয়টির তথ্য যাচাই করে। বুম সে সময় অসম পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান অসমে এই ধরণের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।
বুম অসমের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাথেও সে সময় যোগযোগ করলে জনানো হয় অমজাত আলি নামে তাদের কোনও নেতা-কর্মী নেই। অসম প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র আব্দুল খালিক সে সময় বুমকে জানান, "আজমাত আলি এই নামে অসম প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও বড় নেতা নেই, আমরা অতিসম্প্রতি এইরকম কোনও সংবাদও শুনিনি।"
গুগলে আমজাত আলি এই নাম লিখে সার্চ করেও বিশেষ কোনও তথ্য পায়নি। আপেলের পাশে গ্রেনেড থাকা এই ছবিটি গুগলে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর প্রকাশিত কাশ্মীরের একটি পুলিশ এনকাউন্টার সংক্রন্ত প্রতিবেদনে এই ছবিটি খুঁজে পায়। ওই ঘটনায় নারবাল এলাকা থেকে তিনজন উগ্রপন্থীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
বাংলাদেশের স্থানীয় সংবাদ প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ছবিতে থাকা হাতে হাতকড়া লাগানো লোকটি ২৮ বছর বয়সী ব্যক্তি হলেন মোবারক হোসেন, যিনি পেশায় একজন
মাদ্রাসা শিক্ষক। ২০১৮ সালে গ্রেফতার করা হয় মোবারক। মোবারকের বিরুদ্ধে একটি ১৩ বছর বয়সী নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে এবং নাবালিকাটি পরে আত্মহত্যা করে। সংবাদ প্রতিবেদনগুলি পড়া যাবে
এখানে,
এখানে ও
এখানে।