ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সুধা মূর্তির একটি পুরনো একটি ছবি জিইয়ে তুলে শেয়ার করা হচ্ছে। ছবিতে তাঁকে সবজি পরিবেষ্টিত হয়ে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সেটি এই মিথ্যে দাবি সমেত শেয়ার হচ্ছে যে, বছরে একবার উনি মন্দিরের বাইরে শাক-সবজি বিক্রি করেন।
বুম সুধা মূর্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে উনি বলেন, পোস্টগুলিতে যা দাবি করা হচ্ছে তা মিথ্যে। মূর্তি জানান যে, প্রতি বছর বেঙ্গালুরুর রাঘবেন্দ্র মঠে উনি স্বেচ্ছায় কাজ করে থাকেন। ছবিটি তেমনই এক সময় তোলা।
মূর্তি ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন। কন্নড় ও ইংরেজি ভাষায় উনি বেশ কয়েকটি তথ্যমূলক ও কারিগরি শিক্ষার বই লিখেছেন। জনহিতকর কাজের জন্য তিনি একাধিকবার পুরস্কৃতও হয়েছেন। ২০০৬ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়।
পোস্টগুলিতে যে ছবি দেওয়া আছে, তাতে মূর্তিকে শাক-সবজি নিয়ে মাটিতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে যে, ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী প্রতিবছর বেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের সামনে সবজি বিক্রি করেন।
ফেসবুক ও টুইটারে ওই পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী সুধা মূর্তি নিজের অহং ত্যাগ করার জন্য প্রতি বছর এক দিন সবজি বিক্রি করেন। এই ভাবে উনি নিজের মূল্যবোধকে টাকার কাছে জলাঞ্জলি দেন না।"
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে
এখানে।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে। টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
আরও পড়ুন: কঙ্গনা-সেনা তরজা: মধ্যপ্রদেশের মসজিদের ছবি মুম্বইয়ের বলে ভাইরাল
বুম দেখে ছবিতে মূর্তি সবজি বিক্রি করছেন না, বরং বেঙ্গালুরুর একটি মঠে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন।
"প্রতি বছর আমি আর আমার বোন, কিছু সহকারীদের নিয়ে, সেবা করার জন্য তিন দিন ওই মঠে কাটাই। সেখানে প্রসাদের জন্য যে সবজি আসে, আমরা সেগুলি দেখাশোনা করি," বুমকে বলেন সুধা মূর্তি। তিনি আরও বলেন যে, ওই কাজ উনি অনেক বছর ধরে করছেন।
"ওই তিন দিন প্রতি সকাল ও সন্ধ্যায় আমরা মঠে গিয়ে প্রসাদ তৈরি করার জন্য সবজি ও ফল কাটা, ধোয়া, আর অন্যান্য উপাদান জোগাড় করার কাজ তদারকি করি। ভগবানের সামনে সবাই সমান। কিন্তু সমাজ আমাদের ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলে। তাই আমি প্রতি বছর এই সেবা করি," বলেন মূর্তি।
উনি আরও বলেন যে, ভাইরাল ছবিটি সম্ভবত ওই মন্দিরের কোনও ভক্তের তোলা।
"এ মধ্যে কোনও আর্থিক লাভের ব্যাপার নেই। আমি যখন ভগবানের সেবা করি, তখন আমি চাই না কেউ আমার ছবি তুলুক। অনেকেই ছবি বা সেলফি তুলতে চান, কিন্তু আমি তাঁদের বারণ করি। আমি যা করি তা কোনও বিজ্ঞাপন বা প্রচারের জন্য করি না।"
মূর্তি বলেন ছবিটি কবে তোলা হয়েছিল, তা ওনার জানা নেই। তবে সেটি যে এ বছরে তোলা হয়নি, সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত।