বাংলাদেশের মাদারীপুরে নির্মমভাবে বিষ প্রয়োগ করে বানর হত্যার ছবিকে সাম্প্রদায়িক রং সহ ছড়ানো হচ্ছে। ফেসবুক পোস্টে ছবিটি ভাইরাল করে বিদ্বেষের শিখাকে ঘিতাহুতি দেওয়া হচ্ছে কেউ কেউ বিষয়টিকে সাম্প্রদায়িক চোখে দেখছেন।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে ৭ টি মৃত বানরকে একটি ডোবার পাড়ে শায়িত অবস্থায় রাখা আছে। দূরে কিছু মানুষের জটলাও লক্ষ্য করা যায়।
পোস্টটির ক্যাপশনে বিদ্বেষপূর্ণ শব্দের ব্যবহার হওয়ায় বুম পোস্টটির স্ক্রিনশটের ছবি অস্বচ্ছ করে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ফেসবুক পোস্টটির ক্যাপশনও প্রতিবেদনে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
সতর্কতা: ছবিটি স্পর্শকাতর
ফেসবুক পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
আরও পড়ুন: অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে তৈরি সব টুইটার প্রোফাইলগুলি 'ভেকধারী'
তথ্য যাচাই
বুম ফেসবুকে 'বানর হত্যা' কিওয়ার্ড সার্চ করে ফেসবুক পোস্টের হদিস পায়। সেই ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছে ফল খেয়ে নেওয়ার অপরাধে মাদারীপুরে স্থানীয় মানুষজন বিষ প্রয়োগ করে ওই বানরগুলিকে হত্যা করে।
বুম গুগুলে 'মাদারীপুর', 'বানর হত্যা' প্রভৃতি লিখে সার্চ করে এব্যাপারে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন খুঁজে পায়।
সমকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের মাদারীপুরের চরমাগুরিয়া মধ্যখাগদি এলাকায় মঙ্গলবার ওই মৃত বানরগুলিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। এলাকাবাসীরা জানান, মঙ্গলবার ৫ মে বিকেলে বেশ কয়েকটি বানরকে অসুস্থ এবং কয়েকটিকে কাতরাতে দেখেন তারা। সন্ধ্যার দিকে সব বানরই মারা যায়। পরে বানরগুলো সংগ্রহ করে মাটিচাপা দেন স্থানীয়রা।
বিডি প্রতিদিনের প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, এক বেকারি মালিক বিষপ্রয়োগ করে বানরগুলিকে হত্যা করেছে। কালেরকন্ঠের প্রতিবেদনে মৃত বানরের সংখ্যা ১৫ বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিকেলে ওই এলাকায় অপরিচিত বেশ কয়েকজন যুবক কলা, মুড়ি, চিড়া খাবার হিসেবে বানরদের খেতে দিয়ে চলে যায়। খাবার খেয়ে মুহূর্তেই মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে বানরদের এবং আস্তে আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে।
মাদারীপুর বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক তাপস কুমার গুপ্ত জানান, এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে পশুপাখি সংরক্ষণ আইনে মাদারীপুর সদর থানায় ফৌজদারি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এব্যাপারে যমুনা টিভির রিপোর্টটি দেখুন।