সোশাল মিডিয়ায় ২০১৭ সালের রাজস্থানে বলপূর্বক বালিকা বধুকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও বিভ্রান্তিকর দাবি সহ পাকিস্তানে সংখ্যালঘু কন্যাকে অপহরণের ঘটনা বলে শেয়ার করা হচ্ছে। ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায় দুই যুবক দুই মহিলাকে শারীরিক হেনস্থা করেছে। তাদের একজন লাঠি দিয়ে মধ্যবয়স্ক মহিলাকের প্রথমে মাটিতে ফেলে দেয়। আর অন্যজন কমবয়সী মেয়েটিকে জোর করে ট্রাক্টরে তোলে। মধ্যবয়স্ক মহিলা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে লাঠি দিয়ে মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। বাইক চেপে ওই যুবকও চলে যায়। এই দৃশ্য দেখে বাচ্চাদের কাঁদতে দেখা যায় ওই ভিডিওতে।
বুম যাচাই করে দেখে ২০১৭ সালে রাজস্থানের যোধপুরে বাল্য বিবাহের শিকার হওয়া ওই নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় তার স্বামী। মেয়েটির মা বাধা দিতে গেলে তাকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয়।
বিজেপি নেতা তথাগত রায় এই ভিডিওটি টুইট করে দাবি করেছেন, এটি পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের অপহরণের ভিডিও। বর্তমানে তথাগত রায় মেঘালয়ের রাজ্যপালের দায়িত্বভার থেকে ছুটিতে আছেন।
তথাগত রায় ওই টুইটে লেখেন, ''পাকিস্তানে এক হিন্দু মহিলা কে মুসলিমরা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তার মা ও সন্তানের সামনে থেকে। আর বোকা হিন্দু NRC বিরোধিতায় মগ্ন। 150 কোটি মুসলিমদের জন্য 55 টি ইসলামিক দেশ আছে, 250 কোটি খ্রিষ্টানের জন্য আছে 69 টি খ্রিস্টান দেশ। আর 150 কোটি হিন্দুদের জন্য নেই কোনো দেশ।''
তথ্য যাচাই
ভিডিওটি ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ফেসবুকে শেয়ার করে দাবি করা হয়েছিল এই বিজেপি শাসিত রাজস্থানে আইন শৃঙ্খলা অবনতির ঘটনা। বুম তখন ভিডিওটির তথ্যযাচাই করেছিল।
ঘটনাটি নিয়ে ২০১৭ সালে ১১ সেপ্টেম্বর ডিএনএ-তে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। রাজস্থানের যোধপুরের বাপ তহশিলের কালু খান কি ধানির ঘটনা এটি। জনৈক আহমেদ খান তার নাবালিকা কন্যার বিয়ে দেন শওকতের সঙ্গে। বালিকাটির মা নেহমত প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে তাকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠাতে অস্বীকার করে। শওকত তার বন্ধু ইলিয়াসকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটির মাকে নিগ্রহ করে জোর করে মেয়েটিকে নিয়ে যায়। পুলিশ ভিডিওটি ভাইরাল হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়।
একই ঘটনা নিয়ে নিউজ এক্স-এর প্রতিবেদনটি নীচে দেওয়া হল।