সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর দাবি সহ সম্পর্কহীন এক ব্যক্তির ছবিকে কেরলের পালাক্কড়ে মর্মান্তিকভাবে মারা যাওয়া হস্তিনীটির হত্যাকারী বলে বলে দাবি করা হচ্ছে। বাগানের ফসল রক্ষা করতে শূকর তাড়ানো পটকায় আহত হওয়ার পর ২৭ মে হস্তিনীটির জলে ঠায় দাঁড়িয়ে মূত্যু হয়। এই মর্মান্তিক ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে অভিযুক্তদের ধর্মপরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক ভুয়ো তথ্য ছড়াতে থাকে।
আরও পড়ুন: কেরলে এক গর্ভবতী হস্তিনীর দুঃখজনক মৃত্যু থেকে গোঁড়ামি ও গুজব ছড়াচ্ছে
বুম দেখে ফেসবুক পোস্টে যে ব্যক্তির ছবি হত্যাকারী হিসেবে দেখানো হচ্ছে তাঁর নাম মধু। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে কেরলের পালক্কড় জেলার কাদুকামান্না গ্রামের বাসিন্দা ওই আদিবাসি যুবকের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়।
ফেসবুক পোস্টে ব্যবহার করা ছবির ব্যক্তির নাম মধু। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে কেরলের ওই আদিবাসি যুবকের গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়। হস্তিনীর মৃত্যুতে খবরের শিরোনামে আসা পালক্কড় জেলারই কাদুকামান্না গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মধু।
২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মানসিক ভারসাম্যহীন ২৭ বছর বয়সী ওই যুবকেকে খাবার চুরির অভিযোগে বনের এলাকায় কয়েকজন লোক ধরে ফেলে দড়ি দিয়ে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতাল যাওয়ার রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার দুদিন পরে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে সময় মধুকে ধরে পেটানোর স্পর্শকাতর ভিডিও ও ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। অন্য দিক থেকে তোলা মধুর ছবি রয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে।