Claim
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোলিং বুথের একটি ভাইরাল ভিডিও বিভ্রান্তিকরভাবে শেয়ার করা হচ্ছে। ফেসবুকে ব্যবহারকারীরা দাবি করেছেন ভিডিওটিতে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হচ্ছে। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশন হিসাবে লিখেছেন, "ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের একটি বুথে চোর ভাইপোর গুণ্ডা বাহিনী ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে, এই রকম ভাবে সারা বাংলা জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস গ্রামগঞ্জে ভোট করেছে। তারই একটা ভিডিও ছবি আপনাদের উদ্দেশ্যে পাঠালাম। এই ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে চোর ভাইপো ৭ লক্ষ্যের বেশি ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ভিডিওটি আপনার পরিচিতদের শেয়ার করুন। সবাই জানুক কিভাবে গ্রামগঞ্জে ভোট হয়েছে। ভাবতে অবাক লাগে, এই অসৎ দলটির নেত্রী চোর মমতা ও তাহার চোর ভাইপো এখনো মাথা উঁচু করে কথা বলে, লজ্জা বলতে ওদের কিছুই নেই।" পোস্টটি দেখুন এখানে, আর্কাইভ দেখুন এখানে।
Fact
এবছরের এপ্রিল মাসে এবং ২০২২ সালে এই ভিডিও অন্য এক ভুয়ো দাবিসহ ভাইরাল হলে বুম তার তথ্য যাচাই করে। সেসময় আমরা ভিডিওটির বিষয়ে জানতে ইউটিউবে সম্পর্কিত কিওয়ার্ড সার্চ করে ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২ পোস্ট করা টিভি৯ বাংলার একটি নিউজ বুলেটিনে ভাইরাল ভিডিওর দৃশ্য দেখতে পাই। টিভি ৯ বাংলার সেই রিপোর্টের ক্যাপশন হিসাবে লেখা হয়, "দক্ষিণ দমদমের ৩৩ নং ওয়ার্ডের ১০৮ নং বুথে ভোটার না, ভোট দিলেন এজেন্ট"। ভিডিওটির বিবরণ থেকে আমরা জানতে পারি ঘটনাটি দক্ষিণ দমদম পৌরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে লেকভিউ স্কুলে ভোট চলাকালীন ঘটে। এছাড়াও, টিভি৯ বাংলার তরফে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ছাপ্পা-ভোট দেওয়ার পুরো ঘটনাটাই প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে ঘটলেও ঘটনাটির কোনো প্রতিবাদ তিনি করেননি। আমরা প্রতিবেদনটি থেকে আরও জানতে পারি নীল টিশার্ট পরা ব্যক্তি ভোটারদের ইভিএমের কাছে আসতে না দিয়ে নিজেই ভোট দিচ্ছিলেন এবং গুনছিলেন কত নম্বর ছাপ্পা-ভোট দেওয়া হল। বিরোধীরা সেসময় নীল টিশার্ট পড়া ব্যক্তিকে তৃণমূল কর্মী বলে অভিযুক্ত করেছিল এবং সিপিএম তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনেক ছাপ্পা-ভোট দেওয়ার অভিযোগও তুলেছিল। উপরন্তু, বিরোধী দল বিজেপি এবং কংগ্রেস তৃণমূলের ভোট-চুরির অভিযোগ করে সমাজমাধ্যমে এই ভিডিওটি সেসময় পোস্ট করেছিল। কংগ্রেসের সেই পোস্টের আর্কাইভ দেখুন এখানে। বিজেপির করা পোস্ট দেখুন এখানে।