মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে ‘নব দুনিয়া’ নামের দৈনিকের প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল মধ্যপ্রদেশ সরকারের বিজ্ঞাপন। এডিটিং-এর খামতির ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক হলেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, এক বৃদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীকে আশীর্বাদ করছেন, আর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ধরা সেই সেই বৃদ্ধার কৃষিঋণ মকুবের সংশাপত্র। মুশকিল হল, ছবিতে হাজির একটি হাতও। আর, সেই হাতের উপস্থিতিই সাড়া ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভাইরাল হওয়া পোস্টটি এখানে দেখতে পারেন, তার আর্কাইভড ভার্সান দেখতে পারেন এখানে ।
ফেসবুক ও টুইটারে ছবিটি দেদার শেয়ার করা হয়েছে।
টুইটটির আর্কাইভড ভার্সান দেখা যাবে এখানে।
তথ্য যাচাই
রাজ্যের কয়েকটি হিন্দি দৈনিকের প্রথম পাতায় মধ্যপ্রদেশ সরকারের জয় কিসান কৃষিঋণ মকুব যোজনার বিজ্ঞাপনে এই ফোটোশপ করা ছবিটি ব্যবহৃত হয়েছে।
ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, বৃদ্ধা এক হাতে কমল নাথকে আশীর্বাদ করছেন, আর তাঁর অন্য হাতটি রয়েছে নিজের শরীরের কাছাকাছি। কমল নাথ দু’হাতে ধরে রেখেছেন কৃষিঋণ মকুবের সংশাপত্র। মজার কথা হল, সেই বৃদ্ধা বা মুখ্যমন্ত্রীর নয়, এমন একটি হাতও পিছন থেকে ধরে রয়েছে একটি সংশাপত্রকে।
বুম ‘নব দুনিয়া’-র অনলাইন সংস্করণের খোঁজ করে, কিন্তু তার হদিশ মেলেনি। ‘নইদুনিয়া’ নামের অন্য একটি দৈনিকের প্রথম পাতাতেও বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়েছে। লক্ষণীয়, সেই বিজ্ঞাপনে কিন্তু কোনও ভুতুড়ে হাতের অস্তিত্ব নেই।
বুমের তরফ থেকে ‘নইদুনিয়া’-র এক কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সত্যিই কাগজে প্রকাশিত বিজ্ঞাপনে ভুল ছিল।
বুম অনুসন্ধান করে দেখতে পায়, এই ছবিটি এই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখের।
যে সব কৃষক কৃষিঋণ মকুবের সুবিধা পেয়েছেন, তাঁদের হাতে সংশাপত্র তুলে দিতে মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যপ্রদেশের বইতুলে গিয়েছিলেন। ছবিটি সেই অনুষ্ঠানেই তোলা হয়েছিল। অনুষ্ঠানমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী ও এই বৃদ্ধার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরও অনেক বিশিষ্ট মানুষ ও স্থানীয় নেতা।
ভাইরাল হওয়া পোস্টটির উত্তরে এক জন টুইট করে জানিয়েছেন, ‘ভুতুড়ে’ হাতটি আসলে বিধায়ক কমলেশ্বর পটেলের ।
ছবিতে তাঁকে বৃদ্ধার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। পরনে কালো জামা। বুম এই অনুষ্ঠানের ছবির সঙ্গে তাঁর অন্য ছবি মিলিয়ে দেখে নিশ্চিত হয় যে সত্যিই পিছন থেকে সংশাপত্র ধরে থাকা হাতটি তাঁর।
এর পর বুম ‘নব দুনিয়া’-র অনলাইন সংস্করণের খোঁজ করে, কিন্তু সে নামে কোনও সংবাদপত্রের হদিশ মেলেনি।
অতীতেও কংগ্রেস এই রকম ভুল করেছে। তারই একটি উদাহরণ পড়তে পারেন নীচে।
ছবি সম্পাদনার দুর্বলতা কংগ্রেসকে সোশাল মিডিয়ার উপহাসের পাত্র করে তুলেছে