সোশাল মিডিয়ায় জাপান-বাংলাদেশি ওষুধ প্রস্তুতকরক সংস্থার তৈরি গ্যাস্ট্রিক ও ডিওডিনাল আলসারের (ulcer) ওষুধ ওমেক্রনকে (Omecron) বিভ্রান্তিকর দাবি সহ ওমিক্রণ (Omicron Variant) ভেরিয়েন্টের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে।
বুম দেখে 'ওমেক্রন' বদহজম ও অন্ত্র সংক্রান্ত রোগ নিরাময়ের ওষুধ তার সঙ্গে করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট 'ওমিক্রন'-এর কোনও সম্পর্ক নেই।
করোনাভাইরাসের প্রজাতি বি.১.১.৫২৯ ভেরিয়েন্টকে ওমিক্রন নাম দেওয়া হয় ২৪ নভেম্বর ২০২১ দক্ষিণ আফ্রিকায় চিহ্নিত হওয়ার পর। এই নতুন ভেরিয়েন্টের সারা পৃথিবীজুড়ে হদিস মেলার সাথে সাথে বিভিন্ন দেশ জুড়ে নতুন করে অতিমারি সম্পর্কে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিটিতে দেখা যায় "ওমিক্রন ২০" নামের একটি ক্যাপ্সুলের মোড়ক। ওষুধটির প্রস্তুতকারক সংস্থার নাম হিসেবে "নিপ্রো জেএমআই ফার্মা" লেখা রয়েছে।
ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "এদিকে সেই কবে থেকেই আমরা ওমিক্রন খাই!" ফেসবুক পোস্টটি দেখা যাবে এখানে।
আরেকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ক্যাপশন লিখেছেন, "ওমিক্রন ভাইরাস খুবই ভয়ঙ্কর। আর আমরা ওমিক্রন খাই"
কেউ আবার কৌতুক করে লিখেছেন অন্যদেশ যখন ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কে তখন বাঙালিরা নাকি ওমিক্রন সেবন করে।
আরও পড়ুন: মিথ্যে সাম্প্রদায়িক দাবিতে ফালাকাটা কলেজ ছাত্রীকে অক্রমণের ঘটনা ছড়াল
তথ্য যাচাই
বুম "ওমেক্রন নিপ্রো জেএমআই ফার্মা" গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করে সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার ওয়েবসাইটটি খুঁজে পায়।
নিপ্রো জেএমআই ফার্মা (NIPRO JMI Pharma) একটি জাপান ও বংলাদেশের যৌথ মালিকানাধীন ওষুধ প্রস্ততকারক সংস্থা। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে 'ওমেক্রন' ওষুধ নিয়ে বিস্তারিত লেখা রয়েছে। 'ওমেক্রন'-এর মূল উপাদান বেঞ্জিমিডাজোল। যা পাচক রস (gastric acid) ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
সংস্থাটির ওয়েবাসাইটেই লেখা রয়েছে ২০ মিলিগ্রাম ও ৪০ মিলিগ্রামের ক্যাপশুলে ওমেপ্রাজল ২০ ও ৪০ মিলিগ্রাম রয়েছে।
'ওমেক্রন' ওষুধ গ্যাস্ট্রিক, ডিওডিনাল আলসার, অম্বল, বুক-জ্বালা, হজম ও অন্ত্র সংক্রান্ত রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। ভারতে ও বাংলাদেশে এই ওষুধের একাধিক ব্রান্ড রয়েছে। তার সঙ্গে করোনাভাইরাসের নতুন ভেরিয়্যান্টের কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: "দ্য ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট" নামে ভাইরাল সিনেমার পোস্টারটি সম্পাদিত