বুম দেখে, ছবিটি হল ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮-য়, উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে (Unnao) ২০ বছরের এক মহিলাকে হত্যা করার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। ওই মহিলাকে তাঁর বাড়ির কাছে একটি মাঠে খুন করা হয়। বদাউন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তাঁরা বলেন ছবিটির সঙ্গে বদাউনে সাম্প্রতিক এক গণধর্ষণের ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা সাংবাদিক রণবিজয় সিংহের সঙ্গে কথা বলি। ২০১৮ সালে উন্নাওয়ের ঘটনাটির ওপর প্রতিবেদন লিখেছিলেন উনি। রণবিজয় বলেন যে ভাইরাল ছবিতে যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছে, তাঁকে তাঁর এক প্রতিবেশি খুন করে।
উত্তরপ্রদেশের বদাউনে একটি ভয়ঙ্কর ঘটনায়, ৫০ বছর বয়সী
এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীকে ৩ জানুয়ারি গণর্ষণ করা হয়। অভিযোগ একজন পুরোহিত ও আরও দু'জন ওই কাজ করেন। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু সেই পুরোহিত এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছে। খবরে প্রকাশ যে, এই মামলায় '
তৎপরতার অভাবের কারণে' , উঘলতি পুলিশ স্টেশনের অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ওই বীভৎস ছবির সঙ্গে দেওয়া হিন্দি ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "বাদাউনের গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। এক ৫০ বছর বয়সী মহিলা যিনি মন্দিরে গিয়ে ছিলেন, তাঁকে গণধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। গণধর্ষণের মধ্যে যে নৃশংসতার নমুনা লক্ষ্য করা যায়, তা দানবকেও লজ্জা দেবে। ওই পুরোহিত ও তার শিষ্যরা দানবেরও অধম। ওই ঘটনা সম্পর্কে বদাউন পুলিশ দু'দিন ধরে কিছুই করেনি। নৃশংসতার একটা সীমা থাকে।"
(হিন্দিতে লেখা ক্যাপশন: बदायूं गैंगरेप-मर्डर केस, मंदिर गई 50 वर्षीय महिला को गैंगरेप के बाद मर्डर कर दिया गया. गैंगरेप के दौरान जो भयावहता की गई शायद राक्षस भी कांप जाता. लेकिन महंत और उसके चेले दानव निकले.बदायूं पुलिस 2 दिन तक मामला छिपाए रही. ये हैवानियत की पराकाष्ठा है #UpMeJangalraj)
ভাইরাল পোস্টটি দেখা যাবে
এখানে।
নোট: ছবিটি খুব অস্বস্তিকর। দেখবেন কিনা পাঠকরা তা ভেবে নেবেন।
বুম ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখে যে, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮-য়, '
বোলতা হিন্দুস্থান' ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
বোলতা হিন্দুস্থানের লেখায় বলা হয়, ২৪ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের এক খামারে, ২০ বছর বয়সী এক মহিলাকে খুন করা হয়। ওই প্রতিবেদনটির সূত্র ধরে আমরা কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে, ওই ঘটনার ওপর আরও কিছু প্রতিবেদন দেখতে পাই আমরা।
২৬ ডিসেম্বর ২০১৮-য় '
গাঁও কানেকশন'-এ প্রকাশিত এক রিপোর্টে ওই ঘটনা সম্পর্কে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। জানা যায় যে, উন্নাওয়ের সেবক গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলাকে সতীশ যাদব ওরফে মুলায়েম নামের এক তরুণ খুন করে। লোকটিকে পরে গ্রেফতার করা হয়।
সাংবাদিক রণবিজয় সিংহ, যিনি ওই ঘটনার ওপর প্রতিবেদন লিখেছিলেন, বুম তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। উনি নিশ্চিত করে জানান যে, ভাইরাল ছবিটি ওই ঘটনার ওপর তোলা।
গাঁও কানেকশনের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড-করা একটি ভিডিওতে ওই ঘটনা সংক্রান্ত আরও অনেক তথ্য পাওয়া যায়।
বুম বদাউন পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করে। তাঁরা বলেন যে, ওই জেলার সাম্প্রতিক ঘটনাটির সঙ্গে ভাইরাল ছবিটির কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা উন্নাও পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করি। তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানা গেলে আমারা এই প্রতিবেদনটি আপডেট করব।