সফিকুল ইসলাম (Safikul Islam) পরিচালিত ইউটিউব চ্যানেল আরামবাগ টিভির (Arambag TV) একটি ক্লিপিং ভুয়ো দাবিতে সোশাল মিডিয়াতে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) এক নেতার সঙ্গে এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর দৃশ্য (molestation video) বলে ছড়াচ্ছে। ভিডিওটি যাচাই না করে প্রচার করার পর সফিকুল ইসলাম অন্য আরেকটি ইউটিউব ভিডিওতে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন।
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ভিডিওটি ২০২১ সালে বাংলাদেশের নাচোল উপজেলা (Nachole) পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের শ্লীলতাহানির করার দৃশ্য।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ৪ মিনিট ৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে ইউটিউব চ্যানেল আরামবাগ টিভির উপস্থাপক সফিকুল ইসলাম এক ব্যক্তির এক মহিলার সঙ্গে কুরুচিপূর্ণভাবে ব্যবহারের ভিডিও সম্পর্কে আলোচনা করতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, “এখন যেটা বলা হচ্ছে, সোশাল মিডিয়া যে দাবিটা করছে সেটা হচ্ছে যে— এটা নাকি পূর্ব বর্ধমানের এক নেতার ভিডিও। যিনি চেয়ারে বসে রয়েছেন তিনি হচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের একজন নেতা। একটি দলের একেবারে স্পোকসপার্সন এবং জেলাও একটা বড় পদে তিনি নাকি রয়েছেন।
তিনি বলেন সোশাল মিডিয়ায় মারফত তিনি এই ভিডিও পেয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “দর্শক আমি নামটা বলতে পরব না আমি নিশ্চিত নই।
ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, “নেতার আপত্তি কর ভিডিও ভাইরাল। দেখুন তো চিনতে পারেন কিনা।”
ভিডিওটি দেখুন এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম ওই পোস্টের নিচে একটি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনের লিঙ্ক সহ প্রত্যুত্তর দেখতে পায়।
বিএনএ নিউজ প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম, “নাচোল উপজেলা চেয়ারম্যানের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল।”
বুম কিওয়ার্ড সার্চ করে ইউটিউবে যমুনা টিভির ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর প্রকাশিত রিপোর্ট খুঁজে পায়। রিপোর্টির শিরোনাম, "তরুণীর সাথে নাচোল চেয়ারম্যানের অনৈতিক কর্মের ভিডিও ভাইরাল; এবারও কি মাফ।”
ওই রিপোর্টের বর্ণনায় লেখা হয়েছে, “চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের সাথে এক তরুণীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নিজ কার্যালয়ে এমন অপকর্মের বিষয়টি ব্যাপক চাঞ্চল্য ও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে এলাকায়। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দাবি, এর আগেও নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও পার পেয়ে গেছেন কাদের। এবার নেয়া হোক কঠোর ব্যবস্থা।”
যমুনা টিভির রিপোর্টে বলা হল শিক্ষাসংক্রান্ত অনুদানের জন্য কাদেরের কাছে গিয়ে ওই তরুণী শ্লীলতাহানির শিকার হন।
বিষয়টি নিয়ে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর প্রকাশিত নিউজ ২৪ বিডি টিভির প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
সফিকুল ইসলাম ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ আরেকটি ভিডিওতে তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন।
বুম আগেও আরামবাগ টিভি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত ভুয়ো খবরের তথ্য যাচাই করেছে। ২০২১ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময় মণিপুরের ভিডিও ছড়িয়ে আরামবাগ টিভি দাবি করে কোচবিহারে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে জনতার তাণ্ডব।