ফেসবুকের ভাইরাল পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তকুমার বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বাধীন অসম সরকার (Assam Government) মন্দিরের পুরোহিতদের প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা দেবে।
বুম দেখে দাবিটি বিভ্রান্তিকর। এটা ঠিকই যে, কোভিড-১৯'র জন্য ত্রাণ হিসেবে অসম সরকার মন্দিরের পুরোহিত ও নামঘরিয়াদের (বৈষ্ণব প্রার্থনা গৃহের পুরোহিত) জন্য ১৫,০০০ টাকার সাহায্য ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেটি হল এককালীন অনুদান। কোনও মাসিক ব্যবস্থা নয়।
ভাইরাল পোস্টগুলিতে শর্মার মুখের একটি আঁকা ছবি সমেত নীচের লেখাটি দেওয়া হয়েছে।
"असम CM हिमंता दादा ने दिल जित लिया। हिमंता दादा की असम सरकार अब मंदिर के पुजारियों को देगी प्रति माह ১৫০০০ रूपया महीना सभी सनातनी की तरफ से हिमंता दादा को वंदन"।
অনুবাদ করলে এর মানে দাঁড়ায়, "অসমের সিএম হিমন্ত দাদা হৃদয় কেড়েছেন। হিমন্ত দাদার অসম সরকার এবার থেকে মন্দিরের পুজারীদের প্রতি মাসে ১৫,০০০ টাকা মাইনে দেবে। প্রতিটি সনাতনীর তরফ থেকে হিমন্ত দাদাকে অভিনন্দন।"
আমরা ক্যাপশনটি দিয়ে ফেসবুকে সার্চ করি। তার ফলে আমরা দেখি যে, ওই ছবি সমেত লেখাটি ব্যাপক ভাবে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভুয়ো দাবিতে ছড়াল হলিউড অভিনেত্রী কেটি হোমসের ম্যাগাজিন ফোটোশ্যুট ছবি
তথ্য যাচাই
'অসম গভর্নমেন্ট ১৫০০০ টেম্পল প্রিস্ট' – এই শব্দগুলি দিয়ে আমরা গুগুলে কি-ওয়ার্ড সার্চ করি। তার ফলে, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকারের এই ত্রাণ সম্পর্কে বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন সামনে আসে।
প্রতিবেদনগুলিতে বলা হয় যে, ১৫,০০০ টাকা দিয়ে মন্দিরের পুরোহিত ও নামঘরিয়াদের সাহায্য করা হবে। কিন্তু তা হবে এককালীন অনুদান।
দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, "পুরোহিত ও নামঘরিয়াদের (বৈষ্ণব প্রার্থনা গৃহের পুরোহিত) জন্য এককালীন ১৫,০০০ টাকার সাহায্য মঞ্জুর করা হয়েছে।"
দ্য ইকনমিক টাইমস'এ প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, "মন্দিরের পুরোহিত ও নামঘরের (বৈষ্ণব প্রার্থনা গৃহ) প্রধানরা ১৫,০০০ করে টাকা পাবেন।"
ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, বেসরকারি বাসের চালক ও হেলপারদেরও এককালীন ১০,০০০ করে টাকা দেওয়া হবে। আমরা শর্মার টুইট করা একটি গ্রাফিকও দেখতে পাই। তাতে স্পষ্ট বলা আছে যে, মন্দিরের পুরোহিত ও নামঘরিয়াদের যে ১৫,০০০ করে টাকা দেওয়া হবে, তা হল এককালীন অনুদান।
এছাড়াও ৪ নভেম্বর ২০২১ অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত'র সাংবাদিক বৈঠকের একটি ভিডিও দেখতে পাই আমরা। তাতে উনি বলেন, মন্দিরের পুরোহিত ও নামঘরিয়াদের ১৫,০০০ টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে, তবে তা হবে 'এককালীন অনুদান'।