রেলে নিয়োগ সংক্রান্ত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে প্রতিবাদের সময় বিহারের গয়ায় ট্রেনের কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ছবি সাম্প্রতিক অগ্নিপথ সংক্রান্ত (Agnipath Scheme) বিক্ষোভের (Protests) সঙ্গে বিভ্রান্তিকর দাবি সহ জোড়া হচ্ছে।
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতায় বিক্ষোভে ট্রেনের কামরায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বিহার ও উত্তরপ্রদশে। হরিয়ানার দুই জেলায় সরকারি চাকুরির প্রশিক্ষণ দেওয়া সব বেসরকারী কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে সেনাতে নিযুক্ত কর্মীদের বলা হবে অগ্নিবীর। বছরে নিয়োগ করা হবে ৪০ খেরে ৫০ হাজার কর্মী। ২৫ শতংশ কর্মীদের কাজে বহাল রেখে ৪ বছর পর অগ্নিবীররা অপসারিত হবেন এককালীন টাকা সহ। প্রতিবাদ বিক্ষোভের পর বয়সসীমা ২১ বছর থকে ২৩ বছরে ছাড় দেওয়া হয়েছে এই বছরের জন্য। ভাইরাল গ্রাফিক ছবিটি এই প্রেক্ষিতে ছড়ানো হচ্ছে।
জ্বলন্ত একটি ট্রেনের ছবি সহ গ্রাফিক পোস্টটিতে লেখা হয়, "এ কেমন প্রতিবাদ! 'অগ্নিপথ'-এর আঁচে পুড়ছে রেলপথ। বিক্ষোভের জেরে ৩১৬ টি ট্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক জায়গায় ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর চালানাে হয়েছে স্টেশনে। সরকারি সম্পত্তি কারও বাপের সম্পত্তি নয়। প্রতিবাদ করার অনেক পদ্ধতি আছে, দয়া করে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করবেন না।"
পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন: বিভ্রান্তিকর দাবিতে ছড়াল রাজস্থানে ধর্মীয় হিংসার শিকার ব্যক্তির ছবি
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটিকে রিভার্স সার্চ করে ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রকাশিত ইন্ডিয়া অ্যাহেড নিউজের এক প্রতিবেদনে ছবিটিকে খুঁজে পায়। রেলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরীক্ষা সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে বিহার সহ দেশ জুড়ে সে সময় প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয় সরকারি চাকুরির পরীক্ষায় প্রশিক্ষণ নিতে থাকা কর্মপ্রার্থীরা।
ছবিটির ক্যাপশন হিসাবে লেখা হয়, "গয়াতে ভাবুয়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়"।
এই সূত্র ধরে কীওয়ার্ড সার্চ করে বিহারে হওয়া সেই প্রতিবাদ সংক্রান্ত দৃশ্যের বেশ কিছু ভিডিও রিপোর্ট খুঁজে পাই আমরা। ২৬ জানুয়ারি প্রকাশিত দ্য কুইন্টের এক ভিডিও প্রতিবেদন নিচে দেখুন।
২৮ জানুয়ারি, ২০২২ প্রকাশিত দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবাদকারীর অভিঘোক করেন, রেল এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিম্ন যোগ্যতার পদের ক্ষেত্রে চাকরির জন্য উচ্চতর যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অন্যায্যভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিচ্ছে তার ফলে কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন পার্থীদের বেশি প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আবার অন্যদের অভিযোগ, একজন প্রার্থী একটি অঞ্চল থেকে যোগ্যতা অর্জন করলে, ফলাফলের তালিকা অনুযায়ী এক প্রার্থীকে দুই থেকে তিনটি ভিন্ন অঞ্চল থেকে যোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বানভাসি অসমের জনপদ দাবিতে ছড়াল চিনে বন্যার পুরনো ছবি