একটি শোভাযাত্রা ছেকে উস্কানিমূলক মুসলিম-বিরোধী (anti-Muslims) স্লোগান (Slogans) উঠছে, এমন একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য ত্রিপুরার (Tripura) এক সাম্প্রতিক ঘটনা।
বুম দেখে ভিডিওটি ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের, যখন ওই রাজ্যে ব্যাপক হিংসাত্মক বিক্ষোভ ছড়িয়েছিল।
ভিডিওটির হিন্দি ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "ত্রিপুরায় হিন্দুদের ক্রোধ বিস্ফোরিত হয়েছে। যে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন, তাদের দেওয়া স্লোগানগুলো মন দিয়ে শুনুন— মেহবুব তোর বাপের নাম, জয়শ্রীরাম, জয়শ্রীরাম!"
(মূল হিন্দিতে ক্যাপশন: त्रिपुरा में हिन्दुओं का गुस्सा फूटा उतर गए सड़क पर हिन्दुओ के भीड़ का सैलाब देखिये और उनके नारे ध्यान स सुनिए महबूब तेरे बाप नाम का :- जय श्री राम , जय श्री राम)
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
এই পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন: না, আসাদুদ্দিন ওয়েইসির সমর্থকরা জয়পুরে 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' স্লোগান দেননি
তথ্য যাচাই
বুম এই ভিডিওটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং 'ত্রিপুরামে মোল্লাগিরি নহি চলেগা নহি চলেগা' এই স্লোগানের সূত্র অনুসরণ করে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছে, 'দ্য ওয়্যার' গণমাধ্যমের একটি টুইটে ওই ভিডিওটির একটি স্ক্রিনশট প্রকাশিত হয় ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর।
২৮ অক্টোবর, ২০২১ দ্য ওয়্যার-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়, 'সোশাল মিডিয়ায় গুণ্ডামির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যাতে মিছিল থেকে তাণ্ডবকারীদের স্লোগান শোনা যাচ্ছে— "ত্রিপুরামে মোল্লাগিরি নহি চলেগা, নহি চলেগা" এবং "ও মহম্মদ তেরা বাপ, হরে কৃষ্ণ হরে রাম"।
২৬ অক্টোবর প্রকাশিত অন্য একটি টুইটেও আমরা ওই ভিডিওটি দেখতে পাই। সাংবাদিক মীর ফয়জল এই ভিডিওটি টুইট করে লেখেন, "আজ ক্রিপুরায় হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর একটি মিছিল থেকে স্লোগান দেওয়া হয়, ত্রিপুরামে মোল্লাগিরি নহি চলেগা, নহি চলেগা' এবং 'ও মহম্মদ তেরা বাপ, হরে কৃষ্ণ হরে রাম'l গত এক সপ্তাহ ধরে অন্তত ডজন খানেক মসজিদ এবং বহু মুসলিমের ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।"
টুইটটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
'দ্য ওয়্যার' গণমাধ্যমকে এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, "আমরা ভিডিওটির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিl কিছু মুসলিমও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অজানা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ওই কর্মীরা মিছিল চলা কালে উস্কানিমূলক স্লোগান দিচ্ছিলl আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি এবং ভিডিওর দৃশ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি।"
এ ছাড়াও আমরা ত্রিপুরায় সাম্প্রদায়িক হিংসা বিষয়ে খোঁজখবর করে দেখেছি, কোনও সাম্প্রতিক গোলমালের প্রতিবেদন কোথাও প্রকাশিত হয়নি।
আরও পড়ুন: বিবেক অগ্নিহোত্রী কি দ্য কাশ্মীর ফাইলসের লাভের ২০০ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন?