Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

মালদহে নমাজের সময় পুজো মন্ডপের মাইক বন্ধের পুরনো চিঠি ভাইরাল

বুম দেখে ২০১৮ সালে মসজিদে জানালা না থাকায় ওই আবেদন রাখা হয়, এবছর লাউডস্পিকার বন্ধের কোনও আবেদন করেনি মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

By - Suhash Bhattacharjee | 16 Oct 2020 9:05 PM IST

মালদহের গঙ্গাপ্রসাদের আমলিতলায় নামাজের সময় দুর্গা পুজোর মাইক বন্ধ রাখার জন্য থানায় অবেদনের ২০১৮ সালের পুরনো খবর সাম্প্রদায়িক রঙ সহ জিইয়ে তোলা হচ্ছে। কাছাকাছি পুজো মন্ডপ ও মসজিদে জানলা না থাকায় ওই সময় আমলিতলা জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষের তরফে মোথাবাড়ি থানায় একটি দরখাস্ত করা হয়েছিল। 

বুম মোথাবাড়ি থানার সঙ্গে শুক্রবার দুপুরে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, "ওই সময় মসজিদ তৈরি করা হচ্ছিল। এবছর ওই মসজিদ কমিটি এই ধরণের কোনও আবেদেন রাখেনি। এলাকায় কোনও ধর্মীয় উত্তেজনা নেই।"

ভাইরাল হওয়া পোস্টের ছবিটিতে দেখা যায় গ্রামবাসীদের তরফে আমলিতলা জামে মসজিদ পরিচালনের সম্পাদক মহম্মদ আশরাউল হক ১৪ অক্টোবর ২০১৮ মোথাবাড়ি থানার ওসিকে ওই চিঠি দেন। চিঠিতে দুর্গা পুজোর দিনগুলিতে নির্দিষ্ট সময়ে পাঁচবার মাইক বন্ধ রাখার আবেদন করা হয়। রাস্তার একপাশে মসজিদ ও অন্যপাশে দুর্গাপুজো মন্ডপ থাকার কথা বলা হয়েছে ওই চিঠিতে।

পোস্টটি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "দেখুন মসজিদের সম্পাদক পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছেন যাতে করে নামাজ পরার সময় পুজোর মাইক বন্ধ রাখা হয়!! আমরা হিন্দু বা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা কি এটা অনুরোধ করতে পারিনা, পুজোর কটা দিন মসজিদের মাইক গুলো যাতে তারস্বরে বাজানো না হয়, সেগুলোকে বন্ধ রাখা বা আস্তে করে বাজানোর জন্যে??"
পোস্টটি দেখা যাবে এখানে ও আর্কাইভ করা আছে এখানে

তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সেলের প্রাক্তন যুগ্ম আহ্বায়ক সূপর্ণ মৈত্র এই চিঠিটির ছবি টুইটারে পোস্ট করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে ট্যাগ করে লিখেছেন,"এরকম একটি চিঠি ফেসবুকে শেয়ার হতে দেখলাম, অনুরোধ করছি দয়া করে এই চিঠিটির সত্যতা যাচাই করুন।" সূপর্ণ মৈত্র ওই টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীকেও ট্যাগ করেছেন।

টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে

তথ্য যাচাই

বুম দেখে ভাইরাল হওয়া মোথাবাড়ি থানার ওসিকে লেখা আমলিতলা জামে মসজিদ কমিটির চিঠিটি ২০১৮ সালের।

বুম আমলিতলা জামে মসজিদ কমিটির সম্পাদক মহম্মদ আশরাউল হকের সঙ্গে কথা বলেছে। তিনি বুমকে জানান, "২০১৮ সালে তাদের মসজিদটি তৈরি করা হচ্ছিল।মসজিদে সেসময় কোনও জানালা ছিল না। প্রশাসনকে চিঠি দেওয়ার পরে পুলিশে তদন্ত করে দেখে, সত্যিই পুজোমন্ডপ ও মসজিদটি খুব কাছে অবস্থিত। হিন্দুধর্মাবলম্বী গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় ওই বছর নামাজের সময় লাউডস্পিকারে ভলিউম কম করেছিলেন। আমাদের এলাকায় কোনও ধর্মীয় অশান্তি নেই।"
তিনি আরও বলেন, "আজ প্রশাসনের তরফে পুজো কমিটি ও মসজিদ কমিটির মিটিং ছিল। এখন ওই মসজিদের জানালা তৈরি হয়ে যাওয়ায় নামাজের সময় এবারে লাউডস্পিকার না বাজানোর কোনও আবেদন রাখা হয়নি।" বাইরের কেউ প্ররোচনা দিতে ওই পুরনো ছবি ছড়াচ্ছে বলে তাঁর দাবি।

বুম মোথাবাড়ি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করলে এক পুলিশ আধিকারিক আমাদের জানান, "ওই সময় মসজিদ তৈরি করা হচ্ছিল। এবছর ওই মসজিদ কমিটি এই ধরণের কোনও আবেদেন রাখেনি। এলাকায় কোনও ধর্মীয় উত্তেজনা নেই।"

বুম সেপ্টেম্বর মাসে আজানের সময় লাউডস্পিকার বন্ধ রাখা নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার একটি ভুয়ো খবর খণ্ডন করে। ভুয়ো পোস্টে দাবি করা হয়, 
মুর্শিদাবাদ জেলার আজানের ১০ মিনিট পূর্বে থেকে ৫০ মিনিট সকল মন্দিরের মাইক বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মুর্শিদাবাদ পুলিশ সে সময় জানায় ভুয়ো প্রোফাইল থেকে ওই গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই মুর্শিদাবাদে শর্ট-সার্কিটে কালীমূর্তি পোড়ার ঘটনা সাম্প্রদায়িক দাবি সহ সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়েছিল, বুম সে খবরটিও খণ্ডন করে।  

Tags:

Related Stories