নাগরিকত্ব বিলের সংশোধনীর প্রতিবাদে সারা দেশের বিভিন্ন অংশে হওয়া প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে, এক যুবকের মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে অবস্থিত অমর জওয়ান শহীদ বেদি পদাঘাত করার ২০১২ সালের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ছবিটিতে ২০১২ সালে দক্ষিণ মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে উদ্ভূত এক দাঙ্গার মতো পরিস্থিতিতে এক মুসলিম যুবককে সেনা শহীদ বেদী ভাঙচুর করতে দেখা যায়।
ফেসবুকে বিভিন্ন পেজে প্রায় একই দাবি সহ ছবিটি ভাইরাল হয়েছে এই দাবি সহ যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভারতের সেনাদের অবমাননা করছে, অতঃপর এদেশে তাদের থাকার অধিকার নেই। ছবিটিতে ক্যাপশন লেখা হয়ছে, ''যিনি শহীদ জওয়ানদের স্মৃতি স্তম্ভে লাথি মারে তিনি কি কখনও ভারতবর্ষের নাগরিক হতে পারে?? আপনারাই বলুন।''
ভাইরাল পোস্টটি দেখা যাবে এখানে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) ২০১৯, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব বিলকে সংশোধন করে। তার ফলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে আগত ধর্মীয় নীপিড়নের শিকার হওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ ভারতের নাগরিকত্ব পাবে। এই বিলের বিরুদ্ধে হওয়া প্রতিবাদ বিক্ষোভ উত্তর-পূর্ব ভারত, পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের অন্যান্য প্রান্তে হিঃসাত্মক রূপ নিয়েছে।
তথ্য যাচাই
বুম রিভার্স সার্চ করে পেয়েছে মূল ছবিটি মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে হওয়া স্থানীয় সুফি সম্প্রদায় রাজা আকেদেমির আয়োজিত প্রতিবাদ বিক্ষোভের যা পরে হিঃসাত্মক রূপ নেয়।
মায়ানমার ও অসমে মুসলিমদের উপর গণহত্যার প্রতিবাদে জমায়েত হয়েছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়েরর মানুষ। এই প্রতিবাদ ক্রমে বিক্ষোভের রূপ নেয় চল্লিশ হাজারের মতো জনতার টল নামলে। হিঃসাত্মক রূপ নিয়ে কোটি টাকার সম্পত্তি ভাঙচুর হয়।
প্রতিবেদনে প্রকাশ আব্দুল কাদির মহাম্মদ ইউনুস আনসারি(১৯) ওই যুবকে পুলিশ ভাঙচুরের জন্য গ্রেফতার করে। মিড ডের চিত্র-সাংবাদিক অতুল কাম্বলের তোলা ছবি থেকে তাকে চিহ্নিত করা হয়।
১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের শহীদ মঙ্গল চাদিয়া ও সৈয়দ হুসেনের বলিদানের স্মতিতে সম্প্রীতির নজির হিসেবে আজাদ ময়দানে ওই স্মতি শহীদ বেদী ২০০৯ সালে উন্মোচন করা হয়।