ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের কর্ণধার বরজে ব্রেন্ডের পুরনো একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে যে ফোর্বস ম্যাগাজিনের তরফে নাকি বিশ্বের সবথেকে শিক্ষিত রাজনীতিবিদদের তালিকা বের করা হয়েছে যেখানে কংগ্রেসের রাহুল গাঁধী সপ্তম স্থানে রয়েছেন।
বুম যাচাই করে দেখেছে দাবিটি সম্পূর্ণ ভুয়ো ও কাল্পনিক, কেননা ফোর্বসের তরফে এইরকম কোন তালিকা প্রকাশ করা হয়নি এবং ফোর্বস এইরকম কোনও তালিকা কখনও প্রকাশ করেনি। বুম আরও দেখে যে ফোর্বসের তালিকা অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে ক্ষমতাবান রাজনীতিবিদ হচ্ছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী শি জিংপিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন নবম স্থানে।
ফেসবুকে শেয়ার হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সভাপতি বরজে ব্রেন্ডে ও কেরালার ওয়েনাডের কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী পাশাপাশি দাড়িয়ে রয়েছেন। ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "#Breaking বিশ্বের সবচাইতে শিক্ষিত নেতার লিস্টে , ফোর্বস ম্যাগাজিনে রাহুল গান্ধীজি আজ সপ্তম স্থান পেল। উনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।"
ফেসবুক পোস্টটি দেখা যাবে
এখানে, আর্কাইভ করা আছে
এখানে।
বুম একই ক্যাপশনে ২০১৯ সালের একটি
ফেসবুক পোস্ট খুঁজে পায়। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে
এখানে।
বুম দেখে একই পোস্ট ইংরেজি ও হিন্দি ক্যাপশনেও ফেসবুকে শেয়ার হচ্ছে।
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখে ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিশ্বের সবথেকে শিক্ষিত রাজনীতিবিদদের তালিকায় রাহুল গাঁধীর সপ্তম স্থানে থাকার বার্তাটি সম্পূর্ণ ভুয়ো। ফোর্বস এইরকম কোনও তালিকা প্রস্তুত করেনি এবং তাদের বিভিন্ন তালিকার ক্যাটেগরিতে 'সবথেকে শিক্ষিত নেতার তালিকা' এইরকম কোন ক্যাটেগরি নেই।
ভাইরাল ফেসবুক পোটে থাকা ছবির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বুম দেখে রাহুল গাঁধীর সাথে যে ব্যক্তিটি দাড়িয়ে আছেন তিনি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সভাপতি বরজে ব্রেন্ডে। এই ছবিটি ব্রেন্ডে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর
টুইট করেন।
টুইটের ক্যাপশনে লেখা ছিল, "আজ বিকেলে রাহুল গাঁধীর কার্যালয়ে রাহুল গাঁধীর সাথে একটি দারুন নৈশভোজ ছিল। ভারত ও নরওয়ের মধ্যেকার নিবিড় সম্পর্ক ও তা কীভাবে আরও নিবিড় করা যায় সেই নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল।"
বুম ফোর্বসের ওয়েবসাইট ঘেটে দেখে সেখানে 'বিশ্বের সবথেকে শিক্ষিত নেতা' এইরকম কোনও তালিকা ফোর্বস প্রকাশ করে না।
ফোর্বসের বিভিন্ন তালিকার ক্যাটেগরি দেখা যাবে এখানে।২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে অমেঠি নির্বাচনী ক্ষেত্রের জন্য জমা করা
হলফনামা অনুযায়ী রাহুল গাঁধীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হচ্ছে রাহুল ১৯৯৫ সালে কেম্ব্রিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজ থেকে 'উন্নয়ন চর্চা' (ডেভেলপমেন্টাল স্টাডিজ) বিষয়ে এম-ফিল (মাস্টার অফ ফিলোজপি- স্নাতকোত্তর গবেষণা) করেছেন।