Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

জলে ডুবে সুন্দরবনে ত্রাণ নিচ্ছে শিশু? ছবিটি আমপানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়

বুম যাচাই করে দেখে প্লাবিত জায়গায় দাঁড়িয়ে পাত্র হাতে ত্রাণের খাবার নেওয়া বাচ্চার ছবিটি ২০১৩ সালের জুন মাস থেকে অনলাইনে রয়েছে।

By - Suhash Bhattacharjee | 24 May 2020 5:50 AM GMT

প্লাবিত এলাকায় বুক অবধি জলে ডুবে থাকা অবস্থায় দাঁড়িয়ে থালাতে ত্রাণের খাবার নেওয়া একটি বাচ্চার স্পর্শকাতর পুরনো ছবি সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর দাবি সহ শেয়ার করা হচ্ছে। ফেসবুকে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে ছবিটি আমপান বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের ছবি।

 বুম যাচাই করে দেখে ছবিটির সঙ্গে বুধবার পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানা সাইক্লোন আমপান ও তার জেরে জলমগ্ন সুন্দরবনের কোনও সম্পর্ক নেই। ছবিটি ২০১৩ সালের জুন মাস থেকে অনলাইনে রয়েছে।

সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ছবিটিতে একটি বছর পাঁচেক বা তার চেয়ে কমবয়সী একটি বাচ্চাকে বুক অবধি জলে ডুবে থাকা অবস্থায় স্টিলের থালায় ত্রাণের খাবার নিয়ে দেখা যাচ্ছে। ত্রাণ দিতে আসা এক ব্যক্তিও ডুবে রয়েছেন হাঁটু জলে। পাশে রাখা দুটি অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র থেকে লোহার ডাবু হাতায় খাবার তুলে পরিবেশন করা হচ্ছে ওই একরত্তি বাচ্চাটিকে।

ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে একজন ফেসবুক ব্য়বহারকারী ক্যাপশন লিখেছেন, "এই ছবিটি দেখার পর আর বিদ্যুৎ, জল, নেট সংযোগ, ইত্যাদি বিষয়ে কোনো অভিযোগ করতে লজ্জ্বা হচ্ছে। আমরা পাকা বাড়িতে দুবেলা ডাল ভাত খেতে পাচ্ছি। কিন্তু সুন্দরবন এর সাধারণ মানুষদের কি অবস্থা ভাবলে আর খেতে ইচ্ছা করছে না।"

ফেসবুক পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে। 
Full View
বুম দেখে একই ক্যাপশন সহ অনেকেই ফেসবুকে শেয়ার করেছেন ছবিটি। ছবিটিকে ইংরেজি ক্যাপশন সহ শেয়ার করে আমপান কবলিত বাংলার ছবি বলেছেন কেউ কেউ
Full View
টুইটারে ভাইরাল
টলিউড পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ছবিটি ব্য়বহার করে একটি টুইট করেন। তিনি ক্যাপশনে লিখেন যে, "এই ছবি দেখার পরেও যদি আপনি সংকীর্ণ রাজনীতি করেন তবে তা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আপনি যাদি মনে করেন মানবিকতা সবকিছুর উপরে, তবে আমি বাংলার নেতাদের প্রতি একটা আহ্বান রাখতে চাই, বাংলার পক্ষে দাঁড়ান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে উৎসাহ এবং সমর্থন করুন, এটি সহমর্মিতা এবং সৌহার্দের সময়।" 

(মূল ইংরেজিতে টুইট: Even after seeing this, if you feel like indulging in dirty politics, that's on you. But if you think humanity supercedes everything, then a request from Bengal to all the leaders. Stand by Bengal. Support & encourage our CM@MamataOfficial, It's time for empathy & compassion.)

টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে

আরেক চিত্র পরিচালক রাম কমল ছবিটিকে টুইট করে বাংলায় আঘাত হানা সাইক্লোন আমপানের সঙ্গে জুড়েছেন।

টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে। 
অন্য একটি টুইটে এই ছবি ও তার সাথে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যান মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি সাম্প্রতিক ছবির সঙ্গে জুড়ে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন।
টুইটটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে," দুর্যোগের সময়ে নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী।" (মূল ইংরেজিতে ক্যাপশন: "Child and Women development Minister during crisis.")
তথ্য যাচাই

বুম ছবিটিকে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে জানতে পারে ছবিটির সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আমপানের কোনও সম্পর্ক নেই, এটি পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকার ছবি নয়। বুম দেখে ছবিটি ২০১৩ সালের জুন মাস থেকে ইন্টারনেটে রয়েছে।

ছবি শেয়ার করার ওয়েবসাইট ইমগুরে ছবিটি ২০১৩ সালের ২৪ জুন 'ডাকইউমেট' নামে এক ব্যবহারকারী ছবিটি পোস্ট করেন। ছবিটির ক্যাপশন হিসেবে ইংরেজিতে লেখা হয়েছিল, "উত্তরাখণ্ডে এখন যা হচ্ছে।" (মূল ইংরেজিতে ক্যাপশন: "This is what happening in Uttrakhand (India) now days!")

২০১৩ সালের ২৫ জুন প্রবীণ প্যাটেল নামে এক ব্যক্তি ইউটিউবে ছবিটি ব্যবহার করে ৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন।

Full View

২০১৩ সালের ২৯ জুন প্রকাশিত মালায়লাম ব্লগ ও ওই বছরের ৩০ জুনের একটি ফেসবুক পোস্টে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে।

Full View

২০১৩ সালে ১৬ ও ১৭ জুন উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির জেরে বন্যায় প্রায় ১০০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়। রুদ্রপ্রয়াগ, চামোলি, উত্তরকাশি, পিথোরাগড় জেলায় বাড়ি, ব্রিজ, রাস্তা ভেঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। বিস্তরিত পড়ুন এখানে

বুমের পক্ষে স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি ছবিটি উত্তরাখণ্ডের এই দুর্যোগের সঙ্গে সম্পর্কিত কিনা।

বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ১৯৯৯ এর পরে আমপানের মতো বিধ্বংসী ঘূর্ণি়ঝড় আর হয়নি। আমপান সাইক্লোনের প্রভাবে বিপর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ, উড়িশা, বাংলাদেশ। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণায় প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি। বাঁধ ভেঙ্গে জল ঢুকে পড়ায় সুন্দরবন সহ দক্ষিন ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত। ধ্বংসাত্মক আমপানের তাণ্ডবে হাজার হাজার ঘরবাড়ি ভেঙ্গে অসংখ্য মানুষ গৃহহীন।

শহর কলকাতা, শহরতলি সহ গোটা দক্ষিণ বঙ্গের জেলায় বিস্তার্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ, জল, টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বুধবার দুপুরের পর থেকে জনজীবন স্তব্ধ। কাঁচা-পাকা বাড়ি ভেঙ্গে অসংখ্য মানুষ আশ্রয়হীন। এপর্যন্ত ১০০ জনের বেশি জীবনহানির খবর পাওয়া গেছে।

Related Stories