২০২০ সালের অগস্ট মাসে পাকিস্তানের করাচিতে ঝড়ের দাপটে বিলবোর্ড আছড়ে রাস্তায় যাওয়া বাইক আরোহীদের আহত করার ভিডিওকে মিথ্যে দাবি সহ সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে চেন্নাইয়ের ঘটনা বলে দাবি করা হচ্ছে।
সাইক্লোন নিভারের বৃহস্পতিবারের দাপটে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল পুডুচেরির বিভিন্ন এলাকার জনজীবন প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত। প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে কর্ণাটকেও। পুডুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নরায়নস্বামী প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। ধান, সবজি, আখ, পান ও কলা চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পুডুচেরিতে। তামিলনাড়ুতে মারা গেছে ৩ জন। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১২০ কিমি। লক্ষ্যধিক লোকজনদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
৯ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে ভারী বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার মধ্যে, একটি বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং দেওয়াল থেকে খুলে গিয়ে রাস্তার দু'জন বাইক আরোহীর ওপর পড়ে যেতে দেখা যায়।
ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে "আজকের চেন্নাই।"
আরেকটি বাংলা ফেসবুক গ্রুপেও এই ভিডিওটি ক্যাপশন ছাড়া পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টের মন্তব্যে নেটিজেনরা একে চেন্নাইয়ের বলে দাবি করেছেন।
তথ্য যাচাই
বুম একই ভিডিও অগস্ট মাসে খণ্ডন
করেছে। ওই সময়
ভিডিওটিকে হায়দরাবাদের মেহদিপটনমের ঘটনা বলে ছড়ানো হয়েছিল।বুম ভিডিওটিকে কয়েকটি ফ্রেমে ভেঙ্গে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে। তার ফলে,
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর একটি প্রতিবেদন সামনে আসে। তাতে বলা হয়, গত সপ্তাহে করাচির মেট্রোপোল হোটেলের সামনে একটি বিলবোর্ডের আঘাতে মোটরবাইকচালক আহত হন। রিপোর্টটিতে আরও বলা হয় যে, করাচিতে ট্র্যাফিকের ব্যস্ততার মধ্যেই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, সাবধানতার কারণে, করাচি কমিশনারের অফিস থেকে রাস্তার পাশের সব বিজ্ঞাপনের হোর্ডিং খুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কোনও প্রাণহানী বা সম্পত্তির ক্ষতি না হয়।
গাল্ফ নিউজ-এর খবর অনুযায়ী, প্রবল বৃষ্টি আর ঝোড়ো হাওয়ার ফলে হোর্ডিংটি খুলে যায়। সেটি উড়ে গিয়ে দু'জন বাইক চালকের ওপর পড়ে। তার ফলে তাঁরা দুজনেই রাস্তায় পড়ে যান ও ওই ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পাকিস্তানের খবরের ওয়েবসাইট
দ্য নিউজ লেখে যে, শহর থেকে বিজ্ঞাপনের বেআইনি হোর্ডিং সরানোর জন্য
পিটিআই-এর সিন্ধ অ্যাসেমব্লির সদস্য শেজাদ কুরেশি সরকার ও করাচির কমিশনারকে লিখেছেন।
নীচে ওই ঘটনার ওপর সামনা টিভির প্রতিবেদন।