ব্যক্তিগত বচসার জেরে ২০১৮ সালে কর্নাটকের মান্ডিয়াতে এক ব্যক্তি অন্যজনের মাথা কেটে নিয়ে থানাতে হাজির হওয়ার পুরনো একটি অস্বস্তিকর ভিডিও আবার জিইয়ে তুলে বিভ্রান্তিকর দাবি সহ শেয়ার করা হচ্ছে। ফেসবুক পোস্টে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি তাঁর বোনের ধর্ষকের মুন্ডু কেটে থানায় হাজির হয়েছেন।
বুম আগেও এই ভিডিও যাচাই করেছে, সাম্প্রদায়িক রঙ সহ ভিডিওটি ভাইরাল করা হয় তখন।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হাথরসে নির্যাতনের শিকার হওয়া ১৯ বছর বয়সী এক দলিত কন্যার মৃত্যুকে ঘিরে দেশের জনমানসে প্রভাব পড়ায় ভিডিওটি শেয়ার করা হচ্ছে। উচ্চবর্ণের চার যুবকের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই তরুনী এমনটা অভিযোগ হাথরসের ওই পরিবারের।
ফেসবুকে পোস্ট করা ৫৩ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায় এক ব্যক্তি কাটা মানুষের মাথা হাতে নিয়ে চলাফেরা করছেন থানা চত্বরে। পাশে পুলিশ আধিকারিকদেরও ডেখা যায়।
ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "বোনকে ধর্ষণ করায় বড় ভাই সেই ধর্ষকের মাথা কেটে নিয়ে থানায় হাজির, ঘরে ঘরে এমন #দাদা/#ভাই থাকা দরকার"
ভিডিওটি অস্বস্তিকর হওয়ায় এই প্রতিবেদনে কোনও লিঙ্ক যুক্ত করা হয়নি। নীচে আস্বচ্ছভাবে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেওয়া হল।
২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কর্নাটকের মান্ডিয়া জেলায় লিঙ্গায়ত সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তি নিজেদের মধ্যে মারা মারি করার পর এক ব্যক্তি আক্রশে অন্য জনের মুন্ডু কেটে সটান হাজির হয় থানায়।
বুম ভিডিও থেকে থানার নাম সনাক্ত করে দেখে যে এই থানাটি মান্ডিয়া জেলার স্থানীয় মালাভল্লি শহরে অবস্থিত। মান্ডিয়া জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার শিব প্রকাশ দেবরাজ বুমকে জানান এই ঘটনায় কোন সাম্প্রদায়িকতার যোগ ছিল না।
দেবরাজ বুমকে আরও জানান যে, "কাটা মাথা নিয়ে হেঁটে আসা ব্যক্তির নাম পশুপতি এবং নিহত ব্যক্তির নাম গিরিশ।" ওই ঘটনায় ধর্ষণের কোনও যোগ নেই তবে এক জন অন্যজনের মায়ের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করায় দুজনের মধ্যে বচসা বাঁধে।
"ঘটনা ঘটার তিনদিন আগে থেকেই বচসা চলছিল, গিরিশ সম্ববত পশুপতির মা কে নিয়ে অশ্রাব্য কিছু বলেছিল যার ফলে পশুপতি রেগে যায়। ঘটনার দিনে পশুপতি গিরিশকে কফি খেতে নিয়ে যায় এবং একটি কুঠার দিয়ে আঘাত করে তাকে খুন করে এবং বাইকে করে মালাবল্লি টাউন থানায় চলে আসে," দেবরাজ বলেন বুমকে।
বিষয়টি নিয়ে
দ্য নিউজ মিনিট ও দ্য হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন পড়া যাবে
এখানে ও
এখানে।