Claim
"১৯৪৭ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত দেশের সমস্ত শিক্ষামন্ত্রী মুসলমান ছিলেন, তার জন্য মুসলিম শাসকেরা ইতিহাস বইকে দখল করে নিয়েছে, সংস্কৃতি জিহাদের দ্বারা হিন্দু সভ্যতা ও রাজা দের বিবরণ মুছে ফেলেছে।" এই গ্রাফিকটি এক ফেসবুক পেজে শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "কংগ্রেসের তুতিয়াগিরিতে রমেশ চন্দ্র মজুমদারের লেখা ইতিহাস ঠাঁই পায়নি, পেয়েছে ইরফান হাবিব, রোমিলা থাপাড় এর মত মানুষের বিকৃত তথ্য আর জন্ম নিয়েছে কু**র সেকুলারদের দল।" পোস্টটি দেখুন এখানে এবং আর্কাইভ দেখুন এখানে।
Fact
বুম ২০২০ সালে একই দাবি ভাইরাল হলে তার সত্যতা যাচাই করে। আমরা ভারত সরকারের শিক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেশের পূর্বতন শিক্ষামন্ত্রীদের একটি তালিকা দেখতে পাই। ওই তালিকা অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত তিন দশকে দশ জন শিক্ষামন্ত্রীর মধ্যে পাঁচজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী ছিলেন ও বাকিরা হিন্দু ছিলেন। পাঁচজন মুসলিম শিক্ষামন্ত্রী হলেন— মৌলানা আবুল কালাম আজাদ (১৯৪৭-৫৮), হুমায়ুন কবীর (১৯৬৩ সালে মাত্র তিনমাসের জন্য), মোহমেদালি করিম চাগলা বা এম সি চাগলা (১৯৬৩-৬৬), ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ (নভেম্বর, ১৯৬৬ থেকে মার্চ, ১৯৬৭ মাত্র তিনমাসের জন্য) ও প্রোফেসর এস নুরুল হাসান (১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত হিন্দু শিক্ষামন্ত্রীরা হলেন— ডঃ কে এল শ্রীমালি (১৯৫৮-৬২ প্রতিমন্ত্রী এবং ১৯৬২-৬৩ পূর্ণমন্ত্রী), ডঃ ত্রিগুনা সেন (১৯৬৭-৬৯), ডঃ ভি কে আর ভি রাও (১৯৬৯-৭১), এবং সিদ্ধার্থ শংকর রায় (১৯৭১-৭২)। ভারতের পূর্বতন শিক্ষামন্ত্রীর তালিকা দেখুন এখানে।