Claim
ফেসবুক ও হোয়াটঅ্যাপে ভাইরাল হওয়া ভুয়ো ষড়যন্ত্রমূলক তত্তের বয়ানে দাবি করা হয়েছে, করোনা আদতে এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া, ৫ জি বিকরণের প্রভাবে ঘটে আর ব্যাথার ওষুধে সেরে যায়। ওই ভুয়ো বার্তার সারমর্ম হল, ইতালির চিকিৎসকরা করোনার গ্রাসে মৃত এক রোগীর ময়নাতদন্ত করে জানতে পেরেছে, করোনা আসলে, "এমপ্লিফায়েড গ্লোবাল 5 জি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন (পয়জন)'।... এটি কোনও ভাইরাস নয়, তবে একটি জীবাণু যা মৃত্যুর কারণ করে, যা শিরাতে রক্ত জমাট বাঁধার কারণ, অর্থাৎ এই ব্যাকটিরিয়ার কারণে শিরা এবং স্নায়ুতে রক্ত জমাট বাঁধার কারণ এবং এটিই রোগীর মৃত্যুর কারণ ঘটায়।...অ্যাসপিরিন (Asprin-100mg) ও প্যারাসিটেমল ৬৫০ মিলিগ্রাম এবং Apronix জাতীয় ওধুষ খেলেই নিরাময় করা সম্ভব করোনা।...”
Fact
২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি চিনের বিজ্ঞানীরা নোভেল করোনাভাইরাস উহানের রোগীর দেহ থেকে আলাদা করতে সক্ষম হয়। এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বর অন্যতম স্বাস্থ্য-বিজ্ঞানের জার্নাল দ্যা লেনসেট-এ। কোভিড-১৯ কোনও ব্যাকটেরিয়া নয়। করোনাভাইরাস ছড়ায় সংক্রমিত ব্যক্তির দেহরস, কাশি, সর্দির ফলে ছড়ানো ড্রফলেটের মাধ্যমে। এর সঙ্গে ৫ জি বিকিরণের কোনও যোগ নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবাসাইটেও বিষয়টি খণ্ডন করা হয়েছ। ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রক ২০২০ সালেই নস্যাৎ করে পেনকিলার যেমন প্যারাসিটামল ও অ্যাসপিরিন কোভিড সারানো সংক্রান্ত বিষয়টি। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ভুয়ো-তথ্য খণ্ডন করার জন্য ইতালির স্বাস্থ্যমন্ত্রাকের তরফে জানানো হয়, "প্যারাসিটামল ব্যাথা উপশম করে। যা ধুম জ্বরের ক্ষেত্রেও ভীষণ কার্যকরি, কিন্তু করোনাভাইরাস সারায় না।" এএফপি ও বুম আগে এই বিষয়গুলির তথ্য-যাচাই করেছে।