Claim
ইরানে বিচারককে হত্যার দায়ে ২০০৭ সালে প্রাণদন্ড হওয়া মাজিদ কাভোওসিফারের (Majid Kavousifar) ছবি ভুয়ো দাবি সহ ছড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ভাইরাল সেই পোস্টগুলিতে ছবিটি দেখিয়ে দাবি করা হয়, "ফাঁসির দড়ি গলায় পড়ার পরেও এমন হাঁসিমুখে থাকা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এই সেই হামজা বেনদেলাজ, যিনি ২১৭ টি ব্যাংক থেকে ৪০ কোটি ডলার হ্যাক করেন এবং আফ্রিকা ও ফিলিস্তিনে অনাহারে অর্ধাহারে মরে যাওয়ার উপক্রম মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেন। আদালতে তাঁর ফাঁসির রায় হলে অবশেষে হাসি মুখে ফাঁসিতে ঝুলে পড়েন। আদালতে তার বক্তব্য পরিস্কার ছিল "আমি কোন পাপ করিনি, গরিবের পেট চাঁপা দিয়ে সমাজের দুর্নীতিবাজরা যে পয়সা ব্যাংক এ জমা রেখেছিল আমি তা গরিবের পেটেই পৌঁছেদিলাম" এটি আমার অপরাধ? স্যালুট হামজা বেনদেলাজ, বিড়ালের মত পাঁচশো বছর বেঁচে থাকার চেয়ে, সিংহের মত এক ঘন্টা বেঁচে থাকা উত্তম!"
Fact
বুম দেখেছে ভাইরাল ছবিটি হ্যাকার হামজা বেনদেলাজের নয়, ২০০৭ সালে প্রাণদন্ড হওয়া মাজিদ কাভোওসিফারের। ২০২১ সালে মাজিদ কাভোওসিফারের ছবি ভুয়ো দাবি সহ ভাইরাল হলে বুম তার তথ্য যাচাই করে। রয়টর্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে ইরানের তেহরানে বিচারক মোগহাদ্দাসকে গুলি করে হত্যার দায়ে ২০০৭ সালে জনসমক্ষে মাজিদ কাভোওসিফার ও তার ভাইপো হুসেইন কাভোওসিফারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তেহরানের এরশাদ আইনি কমপ্লেক্সের সামনে তাদের ফাঁসি দেওয়া হয় যেখানে তারা সেই বিচারক মোগহাদ্দাসকে হত্যা করেছিল। ওই ঘটনার একাধিক ছবি উপস্থিত আছে অসংখ্য ওয়েবসাইট ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, হ্যাকার হামজা বেনদেলাজের দীর্ঘ মেয়াদী জেল হলেও প্রাণদন্ড দেওয়া হয়নি তাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্টের আধিকারিকরা হামজার মৃত্যুদন্ডের গুজবের সত্যতা অস্বীকার করেন বলেও সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদনে রিপোর্ট করা হয়।