Claim
ফেসবুকে বিভিন্ন সম্পর্কহীন এক সেট ছবি শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে সেগুলি গুজরাতের সমুদ্রউপকূলে অবস্থিত পৌরাণিক শহর দ্বারকা নগরী। ফেসবুক পোস্টে ছবিগুলি শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ‘‘সমুদ্র গর্ভে এখনও দৃশ্যমান দ্বারকা নগরী, ৫৫০০ বছর আগে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের তৈরি এই দূর্লভ দ্বারকা নগরী দেখে নিন রামসেতুর মতো এটিও সনাতন ধর্মের চিরন্তনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। কয়েক বছর আগে National institute of oceanography গুজরাতের পশ্চিম উপকূলের উপদ্বীপ কাথিয়াবাড়ে সমুদ্রের ভিতর প্রাচীন দ্বারকা নগরীর ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়। অনেক দরজা থাকার জন্য এই নগরের নাম হয়েছিল দ্বারকা। এই নগরীর চতুর্দিকে অনেক উঁচু উঁচু দেওয়াল ছিল তাতে অনেক দরজা ছিল। এই গুলোর ধ্বংসাবশেষ আজ ও সমুদ্র গর্ভে আছে।’’
Fact
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলি গুজরাতের সমুদ্র উপকূলে আবিষ্কার হওয়া দ্বারকা নগরীর ছবি নয়। প্রথম ছবিটি ব্লগ প্রবন্ধের কাল্পনিক ছবি। দ্বিতীয় ছবিটি ২০০৬ সালে সুনামির ফরে গোপুরম মন্দিরের ভাঙ্গা অংশ। জলের তলার সিংহমূর্তি সহ অন্য ছবি নেপচুন মেমোরিয়াল রীফের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডার উপকূলে সেটি একটি কৃত্রিম উপায়ে তৈরি রীফ। রীফ হল জলের তলায় বালি, পাথর আর প্রবালের এলাকা। চতুর্থ ছবিটির তথ্যেও নানা অসঙ্গতি রয়েছে। নেপচুন মেমোরিয়াল সংস্থা আদতে মার্কিনি সৎকার সংস্থা। নেপচুন মেমোরিয়াল রীফে চিতা ভস্ম সিমেন্টের সঙ্গে মিশিয়ে নানা ধরনের সামুদ্রিক প্রাণীর আকৃতি