সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টে দাবি করা হয়েছে রেল মন্ত্রক গরীব রথ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরকম একটি ফেসবুক পোস্টে ক্যাপশন লেখা হয়েছে: ‘গরীব রথ’ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল রেল মন্ত্রক। নিজস্ব প্রতিবেদন:- ২০০৬ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়েছিল গরিব রথের। গরীব ও মধ্যবিত্তের কথা মাথায় রেখেই এই এসি ট্রেন চালু করা হয়। ১৪ বছরের পুরোনো ট্রেনগুলির রক্ষণাবেক্ষণে আর পয়সা নষ্ট করতে নারাজ রেল। তাই গরিব রথ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল রেল মন্ত্রক।’’
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
সিপিআইএম পলিটব্যুরো সদস্য ও রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম ১৮ জুলাই ২০১৯ সকাল ৮ টা ৪৬ মিনিটে তার টুইটে লেখেন, ‘গরীব রথ ছিল গরীব মানুষকে শীততাপনিয়ন্ত্রিত ট্রেন সহজলভ্য করতে লালুপ্রসাদআরজেডির ২০০৬ সালের উদ্যোগ। মোদী সরকার পরিকল্পনা করছে সব গরীব রথ বন্ধ করতে এবং সুপার ফাস্ট ট্রেনে রূপান্তর করতে।
তথ্য যাচাই
মূলধারার গণমাধ্যমেও এরকমের খবর প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯ জুলাই রেলমন্ত্রালয় টুইট করে জানায়, ‘‘ট্রেন নম্বর ১২০০৭/০৮ কাঠগুদাম ও জম্মু তাওয়াই এর মধ্যে গরীব রথ এক্সপ্রেসের পরিষেবা এবং ট্রেন নং ১২২০৯/১০ কানপুর ও কাঠগুদাম এর মধ্যে গরীব রথ এক্সপ্রেসের পরিসেবা ৪ অগস্ট ২০১৯ থেকে পুনরায় সচল হবে।
টুইটের সঙ্গে অ্যাটাচমেন্টে লেখা হয়-
১. ভারতীয় রেলের ২৬ জোড়া গরীব রথ পরিষেবা আছে। সগুলি খুবই জনপ্রিয়। কারণ সাধারন এসি ৩ টায়ারের চেয়ে কম পয়সায় পরিসেবা দেয়।
২. উত্তর রেলের সাময়িক কোচ অপ্রতুলতায় সংশ্লিষ্ট ট্রেনদুটি (টুইটে লেখা নাম ও যাত্রাপথ) সাময়িক ভাবে এক্সপ্রেস ট্রেন হিসাবে উত্তর রেল বিভাগ ব্যবহার করবে।
৩. এটা জানানো হচ্ছে গরীব রথ পরিসেবা ভারতীয় রেল থেকে তুলে দেওয়ার কোনও প্রস্তাবনা নেই।