Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
বিশ্লেষণ

দেশজুড়ে মোট ২৫৭টি ভুয়ো খবরের মামলা, সোশাল মিডিয়ায় ১৭০টি: এনসিআরবি ২০১৭'র পরিসংখ্যান

এনসিআরবি'র ভুয়ো খবর সংক্রান্ত প্রথম পেশ করা এই তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে গোটা দেশে গুজব ছড়ানোর জন্য ২৫৭টি এবং তারমধ্যে শুধুমাত্র সোশাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে ১৭০ টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।

By - Mohammed Kudrati | 31 Oct 2019 7:26 AM GMT

সম্প্রতি ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) ২০১৭ সালে ভারতের নথিভুক্ত অপরাধের পরিসংখ্যান ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া ২০১৭ প্রকাশ করল। তাতে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে ভারতের সব রাজ্য মিলিয়ে মোট ২৫৭টি ভুয়ো খবর বা গুজব ছড়ানোর ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এনসিআরবি ২০১৭ সালের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করল ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর।

এনসিআরবি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। দেশে অপরাধের পরিসংখ্যান নিয়ে 'ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া' নামক রিপোর্টটিই তাদের প্রধানতম প্রকাশনা। ফেক নিউজ সংক্রান্ত তথ্যটিও ২০১৭ সালের ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া-র পরিসংখ্যান থেকেই পাওয়া গিয়েছে। এই বারই প্রথম ভুয়ো খবর ও গুজব সংক্রান্ত পরিসংখ্যান এই তথ্যপঞ্জিতে নথিভুক্ত হল।

এনসিআরবি-র পরিসংখ্যান জানিয়েছে, এই অপরাধগুলি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ধারার অন্তর্ভুক্ত। উসকানি দেওয়া, ভুল পথে পরিচালনা করা বা অশান্তি তৈরি করার উদ্দেশ্য ভুয়ো খবর বা গুজব ছড়ানো এই ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ভুয়ো খবর ছড়ানোতে এগিয়ে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ

এনসিআরবি-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশেই ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

  • মধ্যপ্রদেশে মোট ১৩৮টি ঘটনার অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে।
  • উত্তরপ্রদেশে নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা ৩২, মধ্যপ্রদেশের থেকে অনেক পিছিয়ে থাকলেও দেশে দ্বিতীয়।
  • দক্ষিণ ভারতের দুই রাজ্য কেরল ও তামিলনাড়ুতে নথিভুক্ত মামলার সংখ্যা যথাক্রমে ১৮ ও ১৬।

পরিসংখ্যান আরও জানাচ্ছে যে ভুয়ো খবর ছড়ানোর মোট ২৫৭টি ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৬৯ জন।

  • মধ্যপ্রদেশে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১৫১, দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
  • উত্তরপ্রদেশে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৩, দেশে দ্বিতীয়।
  • কেরলে সংখ্যাটি ১৯, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানায় ১১ জন করে।

শহরাঞ্চলে নথিভুক্ত ঘটনার সংখ্যা ২০

দেশের মোট ১৯টি শহরে দণ্ডবিধির এই ধারায় নথিভুক্ত মামলার পরিসংখ্যানও দিয়েছে এনসিআরবি।

  • শহরাঞ্চলে নথিভুক্ত মামলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে লখনউয়ে, ২০টি মামলার মধ্যে ন’টি এই শহরে।
  • দ্বিতীয় স্থানে চেন্নাই, সেখানে নথিভুক্ত অভিযোগের সংখ্যা পাঁচ।

বেঙ্গালুরুতে নথিভুক্ত অভিযোগের সংখ্যা দুই। মুম্বই, কোঝিকোর, সুরাত এবং আমদাবাদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি এক। মনে রাখা প্রয়োজন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভুয়ো খবর এবং গুজব ছড়িয়েছে, তা এই পরিসংখ্যানের অন্তর্ভুক্ত নয়। তাকে সাইবার অপরাধ হিসেবে আলাদা ভাবে হিসেব করেছে এনসিআরবি।

অনলাইন ভুয়ো খবর সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা ১৭০

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ধারার পাশাপাশি অনলাইন ভুয়ো খবরকে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে অপরাধ হিসেবেও গণ্য করা হয়েছে এনসিআরবি-র পরিসংখ্যানে। এনসিআরবি জানিয়েছে, রাজ্যস্তরে এই গোত্রের নথিভুক্ত অভিযোগের সংখ্যা ১৭০। যে অপরাধের ক্ষেত্রে “কমিউনিকেশন ডিভাইস (অর্থাৎ কম্পিউটার, মোবাইল বা ট্যাবের মতো যন্ত্র, যাতে বার্তা প্রেরণ করা সম্ভব) অপরাধের মাধ্যম বা লক্ষ্য”, তাকে এই গোত্রের অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

এই ধরনের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি নথিভুক্ত হয়েছে অসমে। নথিভুক্ত অভিযোগের সংখ্যা ৫৬। তার পর আছে উত্তরপ্রদেশ, যেখানে অভিযোগের সংখ্যা ২১ এবং মধ্যপ্রদেশ, যেখানে অভিযোগের সংখ্যা ১৭।

ক্রাইম ইন ইন্ডিয়ার এই পরিসংখ্যান ২০১৭ সালের। এই তথ্য প্রকাশ করতে এক বছর বিলম্ব করল এনসিআরবি।

সম্পূর্ণ রিপোর্টটি দেখা যেতে পারে এখানে

Related Stories