রেজিস্টার জেনারেল অফ সিটিজেন রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড সেন্সাস কমিশনার বিবেক জোশি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ন্যাশানাল পপুলেশন রেজিস্টার এর নিবন্ধীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে । দ্য সিটিজেনশিপ (নাগরিক নিবন্ধীকরণ ও পরিচয়পত্র প্রদান) ২০০৩ এর ৩ নম্বর নিয়মের ৪ নম্বর উপ-নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার অসম রাজ্য বাদে সারা দেশে এই নিবন্ধীকরন তথ্য তালিকা তৈরি ও সংস্করণ প্রক্রিয়া চালাবে।
সপ্তদশ লোকসভা গঠনের পর ২০ জুন ২০১৯ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তার সৌজন্য সংসদ ভাষনে বলেছিলেন, ‘‘সেসব এলাকা অনুপ্রবেশের সমস্যায় প্রভাবিত সে সব জায়গায় আমার সরকার প্রাধান্য দিয়ে ন্যাশানাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন্স প্রক্রিয়া চালু করবে।’’
ন্যাশানাল পপুলেশেন রেজিস্টার বা এনপিআর: আপনি যেগুলি জানবেন
- এনপিআর দেশের প্রতিটা নাগরিকের তালিকা।কোনও নাগরিক সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৬ মাস বা তার বেশি ওই এলাকায় বসবাস করতে চাইলে তিনি ওই নাগরিক তালিকার মধ্যে পড়বেন।
- অসম বাদে এই তালিকা সারা দেশ জুড়ে হবে। অসমে এনআরসি চালু হবার আগেই এই তালিকা তৈরি করা হয়েছিল।
- প্রথমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যক্তির নাম, পরিবারের কর্তা বা কর্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক, বাবার নাম, মায়ের নাম, বিবহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও সাল, জন্মের স্থান, বিবাহিত/অবিবাহিত, নাগরিকত্ব (যে ভাবে ঘোষনা করা আছে), বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, কাজ সম্পর্কিত তথ্য ও শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রভৃতির তথ্য তালিকা নেওয়া হবে।
- উপরে বলা তথ্যের সঙ্গে যোগ করা হবে প্রতিটি ব্যক্তির বায়োমেট্রির তথ্য (আঙুলের ছাপ ও চোখের অক্ষিগোলক)। বায়োমেট্রির তথ্য আধার তালিকা থেকে নেওয়া হবে নাকি নতুন করে সংগ্রহ করা হবে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। রেজিস্টার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ইউনিক আইডেন্টিফিকেশান অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার কাছে বিষয়টি জানতে চেয়েছে।
ইভিপি বা ইলেকটরস ভেরিফিকেশান প্রোগ্রাম
অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে চালু করেছে ইলেকটরস ভেরিফিকেশান প্রোগ্রাম (ইভিপি) যার মাধ্যমে যেকোনও ভোটদাতা nvsp.in বা ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপের মাধ্যমে নাম, পারিবারিক তথ্য সংক্রান্ত প্রভৃতি বিষয় নথিভুক্ত বা সংশোধন করা যাবে সংশ্লিষ্ট পরিচয়ের নথিপত্র অনলাইনে আপলোড করে।
প্রচার অভিযান হিসেবে এই প্রক্রিয়া ১৫ অক্টেবর পর্যন্ত করা হয়েছে। খসড়া তালিকা বের করা হবে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি। চূরান্ত তালিকা বের করা হতে পারে জানুয়ারি মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তায়।
কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যেমে এই নথিভুক্তকরণ করা যাবে। প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় সাত বা আটটি জায়গায় এরকম সেন্টার খোলা হয়েছে। ১ টাকা করে নেওয়া হবে নথিপত্র আপলোড করতে। ফটো আপলোড করতে নেওয়া হবে দুটাকা করে। ৬ নম্বর ফর্ম দিতে ১ টাকা। ৬ ও ৭ নম্বর ফর্মে নাম বাতিল ও নাম যোগ করার জন্য। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
কেন করা হচ্ছে: ভোটের সময় যাতে ভোটার তালিকার ক্রমিক ও অংশ, ভোটের দিন, ভোটদান কেন্দ্র, এলাকার ভোটার ক্ষেত্রের সীমা পরিবর্তন, ভোটার তালিকার আবেদনের আপডেট প্রভৃতি সম্পর্কে যাতে নাগরিকদের ইমেল ও ফোন নম্বরে তথ্য জানানো যায়। খুব সহজে এবার থেকে ভোটার কার্ড যাচাই ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা যাবে খুব সহজে।
ডিডিট্যাল রেশন কার্ড প্রদান ও সংশোধন/পরিবর্তন কর্মসূচী
গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে খাদ্য সাথী প্রকল্পে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ডিডিট্যাল রেশন কার্ড প্রদান ও সংশোধন/পরিবর্তন কর্মসূচী। এই প্রক্রিয়া চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর প্র্রর্যন্ত। বিস্তারিত জানুন এখানে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে এনপিআর এর কোনও সম্পর্ক নেই।