Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

'ঐক্যবদ্ধ ভারত' নিয়ে কপিল দেবের Jay Shah সম্পর্কে ভুয়ো মন্তব্য ভাইরাল

বুম দেখে কপিল দেব 'ঐক্যবদ্ধ ভারত' প্রসঙ্গে ক্রিকেট খেলায়াড়দের টুইট নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

By - Sk Badiruddin | 8 Feb 2021 4:57 PM IST

ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা (BCCI)বিসিসিআই-এর সম্মানিক সম্পাদক জয় শাহ (Jay Shah-কে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার কপিল দেবের (Kapil Dev) ভুয়ো মন্তব্য। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই গ্রাফিকে দাবি করা হয়েছে প্রাক্তন ফাস্ট বোলার কপিল দেব নাকি বলেছেন, অমিত শাহের পুত্রের চাপে খেলোয়াড়রা 'ঐক্যবদ্ধ ভারত' নিয়ে টুইট করতে বাধ্য হয়েছেন।

অন্তর্জাতিক খ্যাতনামাদের ভারতের কৃষি আন্দোলন নিয়ে করা সরকারের প্রতি সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া টুইট ঢাকতে একাধিক ক্রীড়াব্যক্তিত্ব সহ বিনোদন ও সঙ্গীতজগতের সরকার ঘনিষ্ট ব্যক্তিরা টুইটারে 'ইন্ডিয়া এগেইনস্ট প্রোপাগান্ডা' ও 'ইন্ডিয়া টুগেদার' অর্থাৎ 'ঐক্যবদ্ধ ভারত' হ্যাশট্যাগ সহ একই বয়ানে টুইট করতে থাকেন। পরে সংশ্লিষ্ট হ্যাশট্যাগ সহ টুইট করেন ভারতের একাধিক মন্ত্রীরাও। সচিন তেন্ডুলকর, অনিল কুম্বলে থেকে শুরু করে এই হ্যাশট্যাগ যুদ্ধে অংশ নেয় সঙ্গীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকর, অক্ষয় কুমার ও সাইনা নেহওয়াল সহ আরও অনেকে। নেটিজেনদের তীব্র বিক্ষোভের মুখেও পড়েন তাঁদের মধ্যে অনেকেই। বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও একই বয়ানে নির্দিষ্ট হ্যাশট্যাগ সহ লেখা অনিল কুম্বলের টুইট রিটুট করেন। বিজেপি নেতা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পুত্র জয় শাহ সম্পর্কে কপিল দেবের করা ভুয়ো মন্তব্যটি এই প্রেক্ষিতেই ভাইরাল হয়েছে। জয় শাহ এবছরই এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৯ সালের অক্টোবার মাসে বিসিসিআই এর সম্মানিক সম্পাদক পদে অভিষিক্ত হন জয় শাহ।

কৃষি আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনায় বিশিষ্টরা ভারত সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়। পপ তারকা রিহানার টুইটের পর সেই তালিকায় একে একে যোগ দেয় পরিবেশকর্মী গ্রিটা থুনবার্গ, প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদন তারকা মিয়া খলিফা, আমেরিকার উপ-রাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিসের ভাগ্নী মিনা হ্যারিস সহ অনেকে। কৃষক আন্দোলনের অভিমুখ ঘোরাতে ইন্টারনেট বন্ধ করা ও কৃষক আন্দোলন নিয়ে ভারত সরকারের অনমনীয় মনোভাবের সমালোচনা করেন তাঁরা। প্রায় ৩ মাসের বেশি সময় ধরে পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা সিংঘু, টিকরি ও গাজীপুর সীমান্তে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সংসদে পাশ হওয়া ৩ টি কৃষি বিল নিঃশর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে।

ভাইরাল হওয়া গ্রাফিকটিতে ওই বক্তব্যকে কপিল দেবের মন্তব্য লেখা রয়েছে। গ্রাফিক পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, ''অমিত শাহের পুত্রের চাপে খেলোয়াররা টুইট করেছেন— মুখ খুললেন কপিল দেব।'' (বানান অপরিবর্তিত)

নিচে দেখুন ভাইরাল ছবিটি।

কপিল দেবের ভুয়ো মন্তব্যের এরকম দুটি ফেসবুক পোস্ট দেখা যাবে এখানেএখানে। পোস্ট দুটি আর্কাইভ করা আছে এখানেএখানে

Full View

আরও পড়ুন: আদানির স্ত্রীর সামনে মাথা নত করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী? একটি তথ্য যাচাই

তথ্য যাচাই

বুম যাচাই করে দেখে জয় শাহ সম্পর্কে কপিল দেবের মন্তব্যের ভাইরাল গ্রাফিকটি ভুয়ো। বুম গণমাধ্যমে কপিল দেবের এই ধরণের কোনও মন্তব্য খুঁজে পায়নি।

বুম খেয়াল করে দেখে ভাইরাল গ্রাফিকটিতে খেলায়াড় বানানে ত্রুটিও রয়েছে।

বুম কপিল দেবের ইনস্টাগ্রামটুইটার অ্যাকাউন্ট সার্চ করে দেখে সেখানে জয় শাহ সম্পর্কে করা এই ধরণের কোনও মন্তব্য নেই।

কপিল দেব ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তাঁর টুইটে কোনও হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেননি। তিনি টুইটে লেখেন, ''আমি সাবলীলভাবে ভারতকে ভালোবাসি, আমি ইচ্ছাপ্রকাশ করি কৃষকদের ও সরকারের এই বিরোধের যত সত্ত্বর সম্ভব হয় নিষ্পত্তি হবে। বিশেষজ্ঞদের ভাবতে দেওয়া হোক। একটা বিষয় নিশ্চিতভাবে ভারত শ্রেষ্ঠ।''

ওই টুইটেই তিনি বড় হাতের হরফে লেখেন, "এছাড়াও আমি ভারতের ক্রিকেট দলের ব্যাপক সাফল্য কামনা করি আসন্ন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে। জয় হিন্দ।''

এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কপিল দেবের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে আর কোনও টুইট করা হয়নি।

বুম কৃষি আন্দোলন নিয়ে আগেও পুরস্কার ফেরানোর গুজব নস্যাৎ করে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হন কপিল দেব। সেসময় তাঁর মৃত্যু নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিল।

আরও পড়ুন: ইতালির মিলান নয়, দিল্লির ইসকন মন্দিরে থাকা বৃহত্তম গীতার ছবি এটি

Tags:

Related Stories