মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় প্রত্যেক পুজো কমিটিকে ৫০,০০০ টাকা করে 'ভালবাসার উপহার' দেবেন বলে ঘোষণা করলেন বৈঠকে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুলিশ, প্রশাসন ও পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে এক বৈঠকের পর ওই মঞ্চ থেকে একগুচ্ছ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই বৈঠকে কোভিড পরবর্তী পুজোর রূপরেখা তৈরি করা হয়। পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ''চারদিক না ঢেকে খোলা মেলা প্যান্ডেল করুন। মণ্ডপে ভীড় করা যাবে না। শারীরিক দূরত্ববিধি বিষয়ে আগে থেকেই সচেতনতার প্রচার করতে হবে। দরকার পড়লে চক দিয়ে দিয়ে গোল দাগ কেটে দিতে পারেন।''
"তৃতীয়া থেকে পুজো দেখার অনুমতি"
তিনি আরও বলেন, ''মণ্ডপে আলাদা ঢোকা ও বেরনোর পথ করতে হবে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্কের ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিশ ও ভলেন্টিয়ারদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক দিতে হবে। পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের ফেস শিল্ড পড়তে হবে।" অঞ্জলি ও সিঁদুর খেলা প্রসাদ বিতরণের সময় সংক্রমণের ঝুঁকি যাতে না থাকে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।
"দায়বদ্ধতার পুজো"
এবছর ভার্চুয়ালি হবে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান। পুজোর সময় পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থার বিচারকদের যেন দুটির বেশি গাড়ি না যায়। প্রয়োজনে ভার্চুয়ালি মণ্ডপ দেখে নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রেড রোডে কোনও কার্ণিভাল হচ্ছে না।
'"অনলাইনে পুজোর অনুমতি"
'আসান'-এর মাধ্যমে ২ তারিখ থেকে পুজোর অনুমতির জন্য আবেদন করা যাবে। দূরত্ববিধি নিয়ে ক্রমাগত মাইকে ঘোষণা করতে হবে দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে। এদিনের বৈঠকে বলা হয় পুজোর করার জন্য প্রসাসনের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের কোনও ফি দিতে হবে না। দমকল, বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা সিএসসি এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার কাছ থেকে পুজোর দিনগুলিতে বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য কমিটিগুলি বিলে ছাড় পাবে ৫০ শতাংশ। ১০ বছরের বেশি পুজো কমিটিগুলিকেও এবারে অনুমতি নিতে হবে।
নেতাজি ইন্ডোরের এই সভার সরাসরি লাইভ দেখানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর ফেসবুক পেজ থেকে। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, পুজো সংগঠনের প্রতিনিধিরা ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ধর্মগুরুরা। ৩৭ হাজার পুজো কমিটির নাম নথিভুক্ত রয়েছে, তার মধ্যে কলকাতার পুজো ২,৫০০।
১০০০ টাকা করে সিভিক ভলান্টিয়ার ও আশাকর্মীদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের কাছে নথিভুক্ত হকারদের পুজোর সময় ২০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়ারও ঘোষণাও করা হয় এদিনের বৈঠকে।
বুম আগে ভাইরাল হওয়া ভুয়ো মেসেজ দুর্গা পুজোর সময় কার্ফু ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার খণ্ডন করেছে। ওই ভুয়ো খবর ছড়ানোর ঘটনায় আগের একটি অনুষ্ঠানে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পুজোতে বিকেল থেকে রাত-ভোর কার্ফু? রাজ্য পুলিশ খণ্ডন করল ভুয়ো বার্তা