Claim
সোশাল মিডিয়ায় ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে মিথ্যে দাবি করা হচ্ছে যে দিল্লি পুলিশ কৃষি আন্দোলনে প্রতিবাদী কৃষকদের মাথা থেকে ইচ্ছাকৃত পাগড়ি খুলে দিয়েছে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, এক পুলিশ ও এক নিরাপত্তা কর্মী এক শিখ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। অন্য এক পুলিশ ওই শিখের মাথার পাগড়ি টেনে খুলে ওই ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যায়। এই দৃশ্যটিকে সম্প্রতি দিল্লিতে চলা কৃষক আন্দোলনে শিখ ব্যক্তির ধর্মীয় অবমাননা বলে দাবি করা হচ্ছে। ফেসবুক পোস্টে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ‘‘প্রতিবাদী কৃষকের মাথা থেকে ইচ্ছাকৃত পাগড়ি খুলল দিল্লী পুলিশ - মুখে কুলুপ 'ভক্ত'দের’’ (বানান অপরিবর্তিত)
Fact
বুম ভিডিওটির কয়েকটি মূল ফ্রেম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ২০১১ সালের ৩১ মার্চ প্রকাশিত শিখনেট-এর একটি প্রতিবেদনের হদিস পায়। প্রতিবেদনে ভিডিওটির দৃশ্যের স্ক্রিনশট ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় যে, ‘‘ছাঁটাই হওয়া গ্রামীণ ভেটেরিনারি ফার্মাসিস্ট ও কর্মচারীরা বিক্ষোভ দেখানোর সময়, পুলিশ আধিকারিকরা এক শিখ যুবককে আলাদা করে নিয়ে যায় এবং বিনা কারণে জোর করে তাঁর পাগড়ি খুলে দেয়। যে পুলিশ আধিকারিক এই কাজটি করেন, তিনি মোহালি ফেজ-৩-এর স্টেশন হাউস অফিসার সাবইনস্পেক্টর কুলভূষণ। ২০১১ সালের ২৯ মার্চ ইউটিউবে আপলোড করা একই দৃশ্যের ভিডিও দেখা যাবে এখানে। ভিডিওটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনের সময় এবং সম্প্রতি চলা কৃষক আন্দোলনে মুসলিম ব্যক্তির শিখ সাজার ঘটনা বলে ভাইরাল হয়েছিল। বুম সেই ভুয়ো দাবি গুলির তথ্য যাচাই করেছে।