Claim
ইন্দোনেশিয়ার সোশাল মিডিয়ায় পেজে ভাইরাল হওয়া সামুদ্রিক মাছের ডিমে নিমাটোডস সংক্রমণের পুরনো সম্পর্কহীন ছবি নতুন করে ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তি। ফেসবুকে শেয়ার করে ছবিগুলির ক্যাপশন হিসাবে লেখা হয়, “বেশিরভাগ মানুষই মাছের ডিম খেতে পছন্দ করে। তবে মাছের ডিমের উপর অনেক সময় লালচে বা নীলচে দাগ দাগ দেখা যায়। আমরা ভাবি এটা হয়তো জমাট বাঁধা রক্ত বা রক্তনালী। আসলে এগুলি কৃমি। তাই রান্না করার আগে এগুলো অবশ্যই ভালোভাবে পরিস্কার করে তবেই রান্না করতে হবে। এগুলো মানুষের পেটে গেলে পাকস্থলীতে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটাতে পারে।”
Fact
বুম দেখে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ছবিগুলি ইন্দোনেশিয়ার একাধিক ফেসবুক পেজে ভাইরাল হয়েছিল। ভাইরাল সেই পোস্টগুলিতে দাবি করা হয় সেখানেই মাছের ডিমে নাকি পরজীবীর অস্তিত্ব মিলেছে। এই ছবিগুলি আগে বুম মাছের স্বাস্থ্য ও পরজীবী বিশেষজ্ঞ প্রবীনরাজ জয়াসিমহানকে দেখায়। প্রবীনরাজ হলেন আইসিআর-কেন্দ্রীয় অন্তর্দেশীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী। তিনি বলেন, ''সামুদ্রিক মাছের ডিমে ফাইলোমেট্রা প্রজাতির নিমাডোটস বাসা বাঁধতে পারে। খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এটি কোন মাছ এভাবে দেখে বলা সম্ভব নয়। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় কাঁচা মাছ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার খাওয়ার রীতি আছে তা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।'' এছাড়াও বুম পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎসবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যপক তপন কুমার ঘোষের সঙ্গে কথা বলে। তপন বুমকে জানান, ''মাছের ডিম তো ভারতে কাঁচা খাওয়া হয়না। পরিপাক করে খাওয়া হয়। তবে যিনি খাচ্ছেন তাঁর সচেতন হওয়া জরুরি কেমন মাছ খাচ্ছেন তিনি।'' ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে এই ছবিগুলি বুম প্রথম তথ্য-যাচাই করেছিল।