Claim
ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ও লেখিকা সুধা মূর্তির দুটি ছবির এক কোলাজ সম্প্রতি এক বিভ্রান্তিকর দাবি করে ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল ওই ছবির কোলাজের একটিতে সুধা মূর্তিকে প্রচুর সবজি নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। ছবির ওই কোলাজটি শেয়ার করে লেখা হয়, "ইনি শ্রীমতী সুধা মূর্তি গোল্ড মেডেলিস্ট ইঞ্জিনিয়ার -ইঞ্জিনিয়ারিং টিচার পদ্মশ্রী পদকপ্রাপ্ত -মারাঠি/ইংরেজি লেখিকা -টাটা টেলকোর প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার -গেটস ফাউন্ডেশনের সদস্যা -সর্বোপরি তিনি ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নারায়ণা মূর্তির স্ত্রী... তবুও প্রতিদিন একটা সময় করে সব্জি বিক্রি করেন, এবং প্রতিদিন ফুটপাতের পাশে বসে নিজের অর্জিত অর্থ দিয়ে রান্না করে প্রচুর দরিদ্র মানুষ কে খাওয়ান। শুধুমাত্র নিজের ইগো, নিজেকে বড়ো ভাবা কন্ট্রোল করার জন্য, সমাজের দীন দরিদ্র মানুষগুলোর দুঃখগুলো বোঝার জন্য! অক্ষয় পাত্র ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দেশজুড়ে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট বিলি করেন অসংখ্য মানুষের মধ্যে। স্যালুট ম্যাম। আপনি ভালো থাকুন, তাহলে অনেক মানুষ ভালো থাকবে।কিন্তু এইসব মহান মানুষেরা কখনোই প্রচারের মাধ্যমে আসেন না। তাই ওনার এই মহান কর্মের কথা প্রচারের আলোতে আসুক এটাই পরম প্রাপ্তি। পৃথিবীতে আপনার মতো অনেক মা আছেন বলেই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর।ভালো থাকবেন সবসময়। সুস্থ থাকবেন"।
Fact
বুম ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সবজি সমেত সুধা মূর্তির বসে থাকার ছবিটি একই ভুয়ো দাবি সহ ভাইরাল হলে তার তথ্য যাচাই করেছিল। আমরা এবিষয়ে জানতে সুধা মূর্তির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ভাইরাল দাবিটি নাকচ করে বলেন বেঙ্গালুরুর রাঘবেন্দ্র স্বামী মঠে তিনি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার সময় ছবিটি তোলা হয়েছিল। মূর্তি জানান, "প্রতি বছর আমি আর আমার বোন, কিছু সহকারীদের নিয়ে, সেবা করার জন্য তিন দিন ওই মঠে কাটাই। সেখানে প্রসাদের জন্য যে সবজি আসে, আমরা সেগুলি দেখাশোনা করি। ওই তিন দিন প্রতি সকাল ও সন্ধ্যায় আমরা মঠে গিয়ে প্রসাদ তৈরি করার জন্য সবজি ও ফল কাটা, ধোয়া, আর অন্যান্য উপাদান জোগাড় করার কাজ তদারকি করি। ভগবানের সামনে সবাই সমান। কিন্তু সমাজ আমাদের ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলে। তাই আমি প্রতি বছর এই সেবা করি।” এবিষয়ে স্পষ্টভাবে লেখিকা তার এই কাজের সাথে আর্থিক কোনও লাভের ব্যাপার নেই বলেও জানান।