Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

নিউইয়র্ক টাইমস-এ কাশ্মীর সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞাপনকে সংবাদ প্রতিবেদন বলে শেয়ার করা হচ্ছে

বুম নিউইয়র্ক টাইমস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছে এটি একটি বিজ্ঞাপন এবং তাদের সাংবাদিকদের লেখা কোনও প্রতিবেদন নয়।

By - Nivedita Niranjankumar | 4 Oct 2019 2:10 PM GMT

কাশ্মীরের অচলাবস্থার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ প্রকাশিত একটি পাতা-জোড়া বিজ্ঞাপনকে ওই সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতিবেদন বলে চালানো হচ্ছে।

বুম এই প্রখ্যাত সংবাদপত্রটির মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, “এটি ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানেটেরিয়ান ফাউন্ডেশন ইনকরপোরেট-এর পয়সা খরচ করে দেওয়া একটি বিজ্ঞাপন।” বিজ্ঞাপনের বয়ান সাংবাদিকরা তৈরি করে দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মুখপাত্রটি বলেন, “এটি বিজ্ঞাপনদাতারা নিজেরাই জমা দিয়েছেন এবং ডিজাইনও করে দিয়েছেন।” সচিত্র বিজ্ঞাপনটিতে লেখাঃ “কাশ্মীর্# অবরোধের অবসান ঘটাও। ৮০ লক্ষ মানুষকে ৫ অগস্ট থেকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ১০ লক্ষ সৈন্য।”   এবং “কাশ্মীরের এই অবরোধ এক নির্লজ্জ বর্ণবিদ্বেষ।” বিজ্ঞাপনে আরও লেখা, “গত ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই অবরোধের ফলে নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ।”



ভাইরাল হওয়া বিজ্ঞাপনের ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, এটি সংবাদপত্রের নিউইয়র্ক টাইমস শিরোনামটির ঠিক নীচে থেকেই বিস্তৃত, যা থেকে অনেকের মনে হয়েছে, বিজ্ঞাপনটি প্রথম পৃষ্ঠাতেই স্থান পেয়েছে—





বিভিন্ন সংবাদ-মাধ্যম কী ভাবে বিজ্ঞাপনটিকে রিপোর্ট করেছে

২৭ সেপ্টেম্বর এএনআই বিজ্ঞাপনটি নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম দেওয়া হয়েছিল, “কাশ্মীর সম্পর্কে নিউইয়র্ক টাইমস তথ্যগতভাবে ভুল একটি পাতা-জোড়া বিজ্ঞাপন ছেপেছে, যাতে পাকিস্তানের দিকে ঝুকে।”

এএনআই-এর রিপোর্টে বিজ্ঞাপনটিকে পাকিস্তানের ভুয়ো বিবরণী বলে বর্ণনা করা হয়েছে।

এএনআইয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদন

নিউজএক্স-এর ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম, “নিউইয়র্ক টাইমস, কাশ্মীর নিয়ে তোমরা দেখাচ্ছো বটে”! এবং সেই সঙ্গে এটিকে একটি বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি একই সঙ্গে একটি প্রতিবেদন বলেও ভুলভাবে বর্ণনা করে। প্রতিবেদনটিতে লেখা হয়— “হাজার-হাজার মাইল দূরে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে বিলাসবহুল টেবিলে বসে নিউইয়র্ক টাইমস-এর কলমচিরা কাশ্মীর নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখে ফেললো, যার সম্পর্কে তাদের সামান্যতম ধারণাও নেই এবং যা বাস্তব পরিস্থিতি থেকে মাইল-মাইল দূর।” তারপর লেখা হয়, এই প্রতিবেদনটির তারা তথ্যযাচাই করেছে, কেননা এতে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ভরা এবং এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে বিপথগামী করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে

তথ্য যাচাই

প্রথম দর্শনেই স্পষ্ট হয়, বিজ্ঞাপনের পৃষ্ঠাটি নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রথম পৃষ্ঠার উপরেই বসানো হয়েছে। নীচের ছবিতে সংবাদপত্রের দুটি আলাদা পৃষ্ঠা পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে।

ভাইরাল হওয়া নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিজ্ঞাপনটি।

আর একটু মন দিয়ে দেখলে দেখা যাবে, নীচে বাঁদিকে একটি লাইনের তলায় ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানেটেরিয়ান ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রচারিত কথাগুলি রয়েছে সংস্থার ওয়েবসাইটের পরিচয় সহ।

ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানেটেরিয়ান ফাউন্ডেশন-এর ওয়েবসাইট সন্ধান করে আমরা ২২ সেপ্টেম্বর নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সংগঠিত একটি প্রতিবাদ-বিক্ষোভের বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্যও পাই।

এর পরই বুম নিউইয়র্ক টাইমস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার মুখপাত্র আমাদের জানান, “বিজ্ঞাপনটি সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়নি। এটি ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রিন্ট বিভাগে এ-৭ পাতায় ছাপা হয়েছিল।”

আমরা ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বরের নিউইয়র্ক টাইমস সংবাদপত্র খুঁজে দেখি, কোনও সংস্করণেই বিজ্ঞাপনটি প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়নি।

(ডান-বাম) ২৭ সেপ্টেম্বর ও ২৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রথম পাতা।

Related Stories